নাসিক ১৯-২৭নং ওয়ার্ডে জন্ম নিবন্ধন পেতে ভোগান্তি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০০৪ (২৯নং আইন) এর আওতায় দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করার কথা বলা হয়েছে। ব্যক্তির নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্ট্রারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি সম্পাদন করে জন্ম সনদ প্রদান করা হয়। এটা প্রতিটি মানুষের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (বন্দরের) ১৯-২৭নং ওয়ার্ড পর্যন্ত মোট ৯টি ওয়ার্ডবাসীর জন্ম নিবন্ধন পেতে নানান ভোগান্তির কারণে জনসাধারণ সহ খোদ কাউন্সিলরাও গণমাধ্যমের কাছে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র বা মেয়র কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কাউন্সিলর বা অন্য কোন কর্মকর্তা জন্ম নিবন্ধন দিতে পারবে, জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আইনে এমনটা বলা আছে এবং সে অনুযায়ী প্রতিটি কাউন্সিলরের অফিস থেকে সচিবের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণ জন্ম নিবন্ধন নিলেও বেশ কিছুদিন আগ থেকে ১৯-২৭নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে এ সার্ভিসটি বন্ধ করে দিয়ে উক্ত ওয়ার্ডসমূহের পরিবর্তে বন্দরের কদমরসূলে অবস্থিত সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জন্ম নিবন্ধন দেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দূরবর্তী ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দারা নিজেদের ওয়ার্ড রেখে কদমরসূলে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন আনা তাদের জন্য ভাগান্তি ও কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার অফিসে জন্ম নিবন্ধনের জন্য জনসাধারণ আসলে আমার মূল দায়িত্ব ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে সেবা দেওয়া এবং সেভাবে আমি কাজ করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কদমরসূলে ৯টি ওয়ার্ডের আঞ্চলিক অফিসে জন্ম নিবন্ধনের কার্যক্রম নিয়ে যাওয়ায় অর্থাৎ এন্ট্রি করার পাসওয়ার্ড নিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েছে। আমার ওয়ার্ডটি বন্দরের সর্বউত্তরের দিকে। তাই এখান থেকে আমার ওয়ার্ড এর সচিব ও জনসাধারণকে কদমরসুল গিয়ে একটা জন্মনিবন্ধনের জন্য কয়েকদিন ঘুরতে হচ্ছে। বয়স্ক, নারী ও বিভিন্ন কর্মজীবি ব্যক্তিদের ৩-৪ দিন ঘুরে এ জন্ম নিবন্ধন আনতে হচ্ছে যা মানুষকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে এবং অন্য দিকে সিটি কর্পোরেশণ থেকে সেবা নিতে আসা জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে বলে আমাদের মনে হয়।

এ সমস্যা শুধু আমার ওয়ার্ডবাসীর নয় বন্দরের মধ্যে নাসিকের ৯টি ওয়ার্ডের জনসাধারনেরই এ অসুবিধা হচ্ছে। বন্দরের সকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়নবাসী এ সেবা নিতে পারছে কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয়ে সিটির জনগণ এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে জনগণের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হচ্ছে এবং আমাদেরকে তারা ভুল বুঝে আমাদের উপর আস্থা হারাচ্ছে। তাই জনগণের ভোগান্তি ও হয়রানীর কথা চিন্তা করে জন্মনিবন্ধন দেবার কার্যক্রমটি পুনরায় নিজ নিজ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের মাধ্যমে করার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত