নারায়ণগঞ্জে হাটের সিডিউল নিয়ে হুংকার একদম বলি দিয়া লামু

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : বিগত দিনগুলোর মত এবারো কোরবানী পশুর হাটের সিডিউল কেনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলা কার্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। এছাড়াও কেউ সিডিউল কিনলে মেরে ফেলারও হুংকার দেয়া হয়েছে। আর এমন ঘটনা’র পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে উপস্থিত হয়েছিল সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকেই চলছিল হাটের সিডিউল কেনাবেঁচার কার্যক্রম। দিন বাড়ার সাথে সাথে সিডিউল নিতে ক্রেতাদের পাশাপাশি ভিড় জমায় তাদের বিশাল কর্মী সমর্থকরাও। দুপুর ঘনিয়ে আসলেই উপজেলা কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় সিডিউল বিক্রির স্থান ঘিরে রাখে গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর (কয়লাঘাট সংলগ্ন) এলাকায় আলী আকবরের নিজস্ব ভুমিতে অস্থায়ী পশুর হাটের সিডিউল নিতে আসা লোকেরা।

ওইসময় গরুর হাটের সিডিউল কেনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। কেউ সিডিউল কিনলে একদম বলি দিয়া ফেলামু, রক্তের বন্যা হবে এমন নানা হুংকার দেয় তারা। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ উত্তেজনা চলতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ আসলেও তাদরে সামনেই ধাক্কাধাক্কি বিশৃঙ্খলা ও অশ্রাভ্য ভাষায় গালমন্দ চলতে থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নির্বাহি কর্মকর্তা আরিফা জহুরা সেনা সদস্যের জানালে তারা এসে পরিবেশ শান্ত করে। এরপর থেকে আবারো সিডিউল বিক্রি চলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের একই পশুর হাটের সিডিউল ক্রয়ে বাধা দেয় স্থানীয় বেপারীবাড়ি জামে মসজিদের সেক্রেটারি নাজির আহমেদের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন। এ নিয়ে উত্তেজিত ওই এলাকার লোকজন সিডিউল বিক্রিতে দায়িত্বে থাকা উপজেলা কার্যালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক মো. মনিরুল ইসলামের কক্ষের দরজায় লাথি মেরে ভাংচুরের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নাজির ও প্রতিপক্ষের উত্তেজিত লোকজনকে উপজেলা ভবনের বাহিরে সরিয়ে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। তখন কয়লাঘাট এলাকার উভয়পক্ষের লোকজন আবারো উত্তেজিত হয়ে কলাপসিবল গেট ধাক্কা দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করে ।

অন্যদিকে উপস্থিত অনেকেই অভিযোগ তোলে, উপজেলায় স্বজনপ্রিতী করা হয়। তা না হলে সিডিউল বেচাঁর কক্ষে বহিরাগতরা বসে থাকে কিভাবে? আর ভিতরে কেউ সিডিউল কিনতে গেলেই তাদের ঈশারায় পরিস্থিতি ঘোলাটে কেন হয়। এজন্য এখানকার লোকজনও সহযোগীতা করছে।

এবিষয়ে বেপারীবাড়ি জামে মসজিদের সেক্রেটারি নাজির আহমেদ জানান, জায়গা আমাদের সব আমাদের, সরকারী লোকেরা শুধু হাট টা অনুমতি দিবো এজন্য আইতে হয়। নাইলে আমাগো এলাকার হাট, হেগো কি? আমরা মসজিদের উন্নয়নের জন্য এলাকার যুবসমাজকে সাথে নিয়ে কয়লা ঘাট সংলগ্ন হাটটি প্রস্তুত করি। আমরা চাই আমাদের এ হাটের সিডিউল যাতে কেউ না ক্রয় করে। তারপরও কিছু লোকজন ঐ হাটের সিডিউল ক্রয়ের চেষ্টা করে এতে আমাদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আরিফা জহুরা বলেন, এখন থেকে আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আজ থেকে সিডিউল কিনার ক্ষেত্রে অবশ্যই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। যারাই অশৃঙ্খলা করবে তাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তুলে দেয়া হবে। তাছাড়া গরুর হাটের সিউিউল উন্মুক্ত করা হয়েছে। তাই এতে যে কেউ সিডিউল কিনতে পারবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত