নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকায় একটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকে বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়ে আট মাস বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা-বাবা সহ আরো দুই ভাই বোন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় তাতীঁপাড়া বটতলা এলাকার স্থানীয় ইট বালুর ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরর্দিশন করে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তিতাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আগে জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। একই সাথে তোফাজ্জল হোসেনের পাশের একটি বাড়িরও সেপটিক ট্যাংকও বিস্ফোরণ হয়েছে তবে কেউ হতাহত হননি।
জানা গেছে, ভোরে তোফাজ্জল হোসেন ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম তাদের তিন সন্তান হালিমা বেগম,মোহাম্মদ হোসেন ও সাত মাসের শিশু সন্তান আহাম্মদকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তিন সন্তান নিয়ে ফেরদৌসী ছিলেন এক রুমে আর তোফাজ্জল হোসেন ছিলেন পাশের রুমে। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হলে দেয়াল ধসে পড়ে।
এতে দেয়াল চাপা পড়ে পবিরারের পাঁচজনই গুরুতর আহত হন। ঘরের আসবাবপত্র সব চুড়মার হয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আট মাসের শিশু আহাম্মদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে যায়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কি কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহত শিশুটির মরদেহ স্বজনদের অনুরোধে ময়না তদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।