নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে একটি নকল প্রসাধনী কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে র্যাব। পরে ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে জব্দকৃত নকল প্রসাধনী সামগ্রী, ভেজাল ঔষধ ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল এবং সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। ৭ই মার্চ বুধবার দুপুরে বন্দরের মদনপুরে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব সদর দপ্তর এবং র্যাব–১১ এর একটি দল। বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব–১১র সহকারী পরিচালক বিল্লাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বিএসটিআই এর প্রতিনিধি এবং র্যাব–১১ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুর এলাকায় ওয়েলকাম কসমেটিক্স এন্ড কেমিক্যালস্ লিমিটেড কোম্পানীতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রা›স ও ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ ব্যান্ডের নকল ঔষধ, প্রসাধনী ও খাদ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মুভ (পেইন কিলার), ক্র্যাক গার্ড (পায়ের গোড়ালী ফাঁটা রোধক ক্রীম), ফ্রেশ ছুলী, মাদার স্কীন কেয়ার ক্রীম, কুমারী লেমন, এ্যালোভেরা ফেইস ওয়াশ, কুমারী হানি এন্ড এ্যালমন্ড স্ক্রাব, কুমারী মিক্সড ফ্রুট ফেইস ওয়াশ, ডেক্সট্রোজ গ্লুকোজ, ওয়ান টাচ্ এনজয় পারফিউম ওয়ান টাচ্ এনজয় পারফিউম ওয়ান টাচ্ এনজয় পারফিউম (গোল্ড এডিশন), বডি লোশন, সেন্ট, বডি স্প্রেসহ প্রায় ২৪ ধরনের বিদেশী প্রসিদ্ধ ব্যান্ডের নকল সামগ্রী। এছাড়া কোম্পানীটি দীর্ঘদিন যাবৎ গ্লাক্সো বাংলাদেশ কোম্পানীর গ্লুকোজ ডি নামক পণ্যটির বিপুল পরিমাণ নকল তৈরী করছিল এবং বিভিন্ন নকল সামগ্রীতে অবৈধভাবে বিএসটিআই এর লগো ও বারকোড ব্যবহার করে আসছিল।
ইতিপূর্বে এই কোম্পানীটি ঢাকার কাকরাইল ও খিলগাঁয়ে কারখানা স্থাপন করে এ ধরনের ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে এবং প্রায় ০১ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন এলাকায় কারখানা স্থাপন করেছে বলে জানা যায়। র্যাবের প্রাথমিকর জিজ্ঞাসাবাদে কোম্পানীর মালিক এ কে আজাদ স্বীকার করে যে, প্রায় ১৯ বছর যাবৎ সে নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণের কাজ করছে। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত কোম্পানীর মালিক এ কে আজাদকে ০১ বছর ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও কোম্পানীর ম্যানেজার মোঃ মনির হোসেনকে ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এসময় নকল ও ভেজাল সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য ওয়েলকাম কসমেটিক্স এন্ড কেমিক্যালস্ লিমিটেড কোম্পানীর সকল মালামাল জব্দ করা হয়। এবং ওই কারখানাটি সীলগালা করা হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে জব্দকৃত নকল প্রসাধনী সামগ্রী, ভেজাল ঔষধ ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল এবং সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।