দূর্গার দশ হাত কিন্তু উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরো বিস্তৃত-আবদুল হালিম

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আইনানুগভাবে বিবাহ অনুষ্ঠান নিশ্চিতকরণ বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শক্রবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশসকের সভা কক্ষে এই পর্যালোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভের্নন্স ইনোভেশন ইউনিট এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আবদুল হালিম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মোঃ আবদুল হালিম বলেন, যারা বিবাহ পড়ান (কাজী), তাদের তালিকা বের করেন। তাদের ট্রেনিং দেয়া ব্যবস্থা করতে হবে। বিবাহের সময় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে বয়স নিশ্চিত করণের ট্রেনিং দিতে হবে। বিবাহ সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিজ দায়িত্বে সংগ্রহসহ বিবাহ সর্ম্পকৃত সকল দিক ট্রেনিংয়ের আয়োতায় আনতে হবে। বাল্য বিবাহের জন্য ছেলেদের বয়স ২১ ও মেয়েদের বয়স ১৮ বছর নিশ্চিত করতে হবে। বাল্যবিবাহ সম্পর্কে আড়াই হাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লোকমান হোসেনের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, আপনারা বাল্য বিবাহ সম্পর্কে তথ্য নিয়ে আসেন। খোঁজ রাখেন, তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। যদি ১’শ ৫০জনের সাথে যোগযোগ রাখেন তাহলে এর মধ্যে ৫০জন হলেও আপনাকে তথ্য দিবে। তাদের সেই তথ্য নিয়ে আপনারা কাজ করেন, এ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করে সহায়তা নেন।

তিনি হিন্দুদের দেবীর সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, দূর্গার দশ হাত কিন্তু উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরো বিস্তৃত। তারা যে কোন সময় চাইলেই পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিতে পারে। বাল্য বিবাহের হার ঢাকা বিভাগে ৩৩% থেকে ০% এর অবস্থানে নিয়ে আসার কথা বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাথে আমরাও আমাদের যথাসাধ্য চেষ্ঠা করবো। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, যারা বিবাহ পড়ায় তাদের এব্যাপারে সঠিক তথ্য নিতে হবে। আমরা আগামী ১৫দিনের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করে পরবর্তী ১৫দিনের মধ্যে মিটিংয়ে বসবো। বিয়ের ব্যাপারে মূল দায়িত্বে থাকেন কাজী। আমাদের পক্ষে কেউ নেই এই কথাটি বললে হবে না, আমরা পক্ষে আছি। যদি এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে কোন দোষী হবার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। দোষী যদি আমাদের কেউ হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজকের সভার পরে আমরা সবাই পজেটিভ হব এবং অন্যদের উৎসাহিত করবো। আমরা আমাদের দায়িত্ব হিসেবেই এই কাজ করবো। জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সিভিল সার্জন আশুতোষ দাস, পুলিশ সুপার খ. মহিদ উদিন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফাকামাল মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সরোয়ার হোসেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপসচীব ইসরাত হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) গাউসুল আযম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এসএম নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) শাহীন আরা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার ( এ সার্কেল) ফোরকান শিকদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধুরী, আড়াই হাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হোসেনসহ ৫ টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সদর কর অঞ্চলের ভূমি কর্মকর্তা মাসুম আলী বেগ, ফতুল্লা কর অঞ্চলের ভূমি কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, সিদ্ধিরগঞ্জ কর অঞ্চলের ভূমি কর্মকর্তা শীলু রায়, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল জাকী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা, জয়া মারিয়া পেরেরা, ভক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী প্রমুখ।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত