নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : নারায়ণগঞ্জ -৫ সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ চেয়ারটা পেলে ঘাপটি মেরে বসে থাকি আমরা ক্ষমতাবান। আজকে ১০-১২দিন ধরে ফুটপাতে ময়লার গন্ধে মানুষ ফুটপাত দিয়ে হাটাচলা করতে পারে না। আমি কারো গিবত গাইতে চাইনা। আমারও ভোটার ওইখানে আছে, আমারও জনগন ওইখানে বাস করে। ফুটপাতে ময়লা রেখে হকারদের প্রটেক্ট করতে হবে এমন ডায়লগও আমাদের সাংবাদিকরা লিখেন।
হকারদের রুদ্ধ করতে হলে যদি রাস্তার পাশে ময়লা রাখে তাহলে আর হকার বসতে পারবে না। আরে এত রাগ করলে কি চলে। আপনার অনেক পয়সা থাকতে পারে। আপনি ১০০০টাকায় এলাচি কিনতে পারেন। আর সেই এলাচি যদি আমি ফুটপাত থেকে কিনি তাহলে তা কিনতে পারব ৬০০টাকায়। ঈদের বাজার গরিব মানুষ যাবে কই। ফুটপাতে ময়লা পরিস্কার করে দিয়ে একটু ওদের বসতে দেননা। শহর থেকে তো মানুষ কমে যাচ্ছে। আমরা একটু ফুটপাত থেকে সস্তায় জিনিসপত্র কিনি। মাননীয় মেয়র তুমি আমার ছোটবোন। তোমাকে কটাক্ষ করার জন্য কথাগুলো বলিনি।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টায় বন্দর সেন্ট্রাল ঘাট ময়ময়নসিংহ পট্রিতে ফেরী চলাচলের শুভ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আপনার বাবা পৌরপিতা। আপনি মানুষের ভোটে বিজয়ী হয়েছ। যতই গালাগালি করেন না নৌকা মার্কা একটা পেয়েছিলেন দেখেই আমরা সংসদ সদস্যরা লজ্জার মাথা খেয়ে একজন সংসদ সদস্য হয়েও আমাদের পার্টির লোকজনদের বলেছিলাম ঝাপিয়ে পড়েন প্রধাণমন্ত্রীর ইজ্জত রাখেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেন। অঘটন ঘটাতে ২ সেকেন্ড সময় লাগে কিন্তু ভাল কাজ করতে ২ যুগ লাগে। মেয়র সাহেবা ২যুগ পার হয়ে গেছে আপনার, আপনি অনেক ভাল কাজ করেছেন। তের বছরের উর্ধ্বে আপনি ক্ষমতায় আছেন। এতদিন ক্ষমতায় থাকার পরও আপনাকে কেন মানুষ খারাপ বলবে। আমাদের কষ্ট হয়। আমাদের খুব কষ্ট হয়। আমাদেরই চাচাত বোন আপনি। কষ্ট হয়। আমাদের সহযোগীতা নেন আমি আপনাকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিব।
নয়তো আপনার মাথায় যদি কিছু থাকে তাহলে করেন। আমাদের আওয়ামী লীগের মেয়রের সমন্ধে সাধারণ মানুষ যাতে একটা কথা বলতে না পারে তার বন্দোবস্ত করেন।
আমি চলে গেলে কিছুই হবে না কিন্তু মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চলে যায় তাহলে বাংলাদেশের মানুষ অনেক কিছুই হারাবে। অত্যন্ত দুখের সাথে বলছি এপারে ওপারে কিছু হাইব্রিট জন্ম হয়েছে। একজন কন্ট্রাক্টারী করে হাট পেয়ে গেছে,আরেকজন মানুষের চোখ উপড়ে, মানুষের জায়গা দখল করে ১২টা মামলার আসামী হয়েও মার্কা লাগিয়ে ঈদ মোবারক জানাচ্ছেন। হাইব্রিট থেকে সাবধাণ। দাড়ী রাখছেন, পিরের খাদেম হইছেন, পিরের টাকা সুদে লাগান, পিরের টাকা দিয়া নারায়ণগঞ্জে তাফালিং।
প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টি থাকবে না। জাতীয় পার্টির হাইব্রিটনেতা নারায়ণগঞ্জে প্রয়োজনে বসবাস করতে পারবে না। তাতে যদি জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জে নাইবা থাকে তাতে কিছুই আসে যায় না। নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টি নাসিম ওসমানের জাতীয়পার্টি। হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদই সার্টিফিকেট দিয়ে গেছেন নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টি মানেই ওসমান পার্টি। খবরদার আমার জাতীয় পার্টির মধ্যে বিব্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। আওয়ামীলীগের প্রতি অনুরোধ রইল ডজনখানী কেন্ডিডেট নিয়ে আসবেন না। একজন কেন্ডিডেট আপনারা নিয়ে আসুন। সেলিম ওসমানের সংসদ সদস্য হওয়ার কোন প্রয়োজন নাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী, বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ শাহীন মন্ডল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বারস অফ কমার্সের সভাপতি খারেদ হায়দার কাজল, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লা সানু, সাধারণ সম্পাদক আকরাম আলী শাহীন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি জুয়েল হোসেন, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধাণ, বন্দর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ, ধামগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালাম, ২১নং ওয়ার্ড যুবলীগনেতা সামসুল হাসান, মাহামুদুল হাসান স্বপন, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগনেতা নাজমুল, ছাত্রলীগনেতা আরাফাত কবির ফাহিম প্রমূখ।