ঢাকায় আসছেন পবিত্র মক্কা মসজিদুল হারাম শরীফের ইমাম ও মদিনা মসজিদে নববীর ইমাম

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারাম শরীফের ইমাম ড. শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসি ও মদিনার মসজিদে নববীর ইমাম আবদুর রহমান আল হুতাইফিকে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য গত সপ্তাহে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে জঙ্গীবাদবিরোধী প্রচারের অংশ হিসেবে মক্কা ও মদিনার প্রধান দুই ইমামকে বাংলাদেশে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আগামী নবেম্বর মাসে তারা যেন বাংলাদেশে আসতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী প্রচারের অংশ হিসেবেই মূলত ঢাকায় আনা হচ্ছে পবিত্র মক্কা ও মদিনা শরীফের দুই ইমামকে। আগামী নবেম্বরের মাঝামাঝি সময় ঢাকায় জঙ্গীবাদবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তারা। পররাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানায়।

পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারাম শরীফ ও মসজিদে নববী সৌদি আরব সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত। সে কারণে তাদেরকে ঢাকায় আনতে হলে সৌদি সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। সৌদি সরকারের অনুমোদন ছাড়া তাদেরকে ঢাকায় আনা সম্ভব হবে না। সে কারণে সৌদি সরকারের অনুমোদনের প্রচেষ্টা চলছে। একটি সূত্র জানায়, এই দুই মসজিদে প্রধান ইমাম ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত ইমাম রয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধান দুই ইমামকে আনার চেষ্টা চলছে।

তবে কোন কারণে সেটা সম্ভব না হলে বিকল্প হিসেবে অতিরিক্ত ইমামদের আনা হবে। অবশ্য ঢাকা থেকে ওই দুই মসজিদের প্রধান ইমামের সঙ্গে প্রাথমিক যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা ঢাকায় আসার জন্য প্রাথমিক সম্মতিও জানিয়েছেন। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে আনার চেষ্টা চলছে। সূত্র জানায়, মক্কা ও মদিনার মসজিদের দুই ইমামকে বাংলাদেশে আনা খুব কঠিন কোন কাজ নয়। কেননা এই দুই ইমাম বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করে থাকেন। এর মধ্যে পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারাম শরীফের ইমাম ড. শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসি বেশ কয়েক বার বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ইসলামী সম্মেলনেও আস সুদাইসি অংশ নিয়েছেন।

এছাড়া সম্প্রতি ভারতেও একাধিক ইসলামী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন আবদুর রহমান আস সুদাইসি। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এখন জনসচেতনতা বাড়াতে চায় সরকার। বিশেষ করে জঙ্গীবাদ যে ইসলামবিরোধী একটি কাজ, এর সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোন সম্পৃক্ততা নেই। জঙ্গীবাদের সঙ্গে যেন কোনভাবেই কেউ সম্পৃক্ত না হন, সে জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মক্কা ও মদিনা শরীফের দুই ইমামকে ঢাকায় এনে জঙ্গীবাদবিরোধী প্রচার করালে সমাজে প্রভাব পড়বে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত