নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : ভোর ৬টা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার এস আই মো. জাকির হোসেনের কাছে ফোন আসে জরুরি পুলিশ সেবা ৯৯৯ থেকে। জানানো হয় ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে এক নারী গাঁজা ব্যাবসায়ী রয়েছে। সারারাত ডিউটি শেষে থানায় ফিরেছেন মাত্র। রেস্ট নেয়ার সময় হলোনা তার। ফোর্স সহ ছুটে গেলেন আসামী ধরতে। তবে ঘটনাটা যে এমন হতে পারে তা ঘুনাক্ষরেও আন্দেজ করতে পারেন নি তিনি। পুলিশ আসার আগেই স্থানীয় পাইকারি মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। তবে পুলিশে সাহায্য চেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দেয়া খুচরা ব্যাবসায়ী নারী সালমা বেগম (৪০) কে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গাঁজা ব্যাবসায়ী সালমা বেগম থাকেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। স্বামীর নাম জসিম উদ্দিন। আসল বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার সীমান্ত এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী আব্দুল রহিমের কাছ থেকে গাঁজা কিনে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি ও তার স্বামী। ঘটনার দিন শনিবার সকালে ৩কেজি গাঁজার জন্য রিহিম টাকা দেয় সালমা। তিন কেজির টাকা নিয়ে তাকে গাঁজা দেয় এক কেজি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিতণ্ডা হয় রহিমের সাথে। এক পর্যায়ে জরুরি পুলিশ সেবা ৯৯৯এ ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানায় সালমা। তাৎক্ষণিক ব্রাহ্মণপাড়া থানায় জানানো হয় ৯৯৯ থেকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কৌশলে সটকে পরে পাইকারি ব্যাবসায়ী রহিম মিয়া। এক কেজি গাঁজা সহ আটক করা হয় সালমা বেগম কে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের এসআই মো. জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি এমন হবে বুঝতে পারিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি অবাক হলাম। আবদুর রহিমকে পাওয়া না গেলেও সালমাকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সালমা ও পলাতক মাদক কারবারি আবদুর রহিমকে আসামি করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে।