নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে গৃহবধু শান্তা বেগমকে মাছ কাটার বটি দিয়ে হত্যার চেষ্টায় নৃশংসভাবে কুপিয়েছে পাষন্ড স্বামী মুছা ওরফে মোবাইল চোর মুছা। গত ২৫ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৯টায় বন্দর থানাধীন শাহী মসজিদ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত গৃহবধুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আহতের পিতা মাসুদ বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
গৃহবধু শান্তার পিতা মুড়ি ব্যবসায়ী মাসুদ জানায়, আমার মেয়ে শান্তা বেগমকে দুই বৎসর পূর্বে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার মোঃ মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ মুছা ওরফে মোবাইল চোর মুছার সঙ্গে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই আমরা জানতে পারি আমার মেয়ের জামাতা মোবাইল চোর ও মাদক ব্যবসায়ী। কিছুদিন পর পরই আমার মেয়েকে পিত্রালয় থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত। টাকা না দিতে পারলে মুছা আমার মেয়েকে চুলের মুঠি ধরে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করত।
এর ধারাবাহিকতায়, গত শুক্রবার রাত ৯টায় টাকার নেশায় বিভোর হয়ে জামাতা মুছা আমার মেয়ে শান্তাকে পিত্রালয় থেকে মাদক ব্যবসা করবে বলে ২লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার মেয়ে জামাতা মুছা, মুছার বোন আকলিমা ও বোন জামাই মোবাইল চোরের সর্দার মনির জিলানীসহ সবাই মিলে আমার মেয়েকে মারধর করে। আমার মেয়ে তাদেও নিকট কান্নাকাটি কওে বলে আমার বাবা দরিদ্র মুড়ি ব্যবসায়ী। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই। তারপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। জামাতা মুছা এক পর্যায়ে ঘরের মধ্যে থাকা মাছ কাটার বটি দিয়ে আমার মেয়ে শান্তাকে মাথায় কোপ দেয় এবং মোবাইল দিয়ে চোখে আঘাত করে। আমার মাথায় বটির কোপের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এই ফাঁকে জামাতা মুছা, বোন আকলিমা ও বোন জামাই চোরের সর্দার মনির জিলানী পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় শান্তাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্টাররা তাৎক্ষনিক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে।