কুমিল্লায় এবার জন্ম নিলো যমজ শিশু, নাম রাখলো পদ্মা-সেতু

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : এবার কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেওয়া যমজ দুই শিশুর নাম রাখা হয়েছে পদ্মা ও সেতু। বিনামূল্যে তাদের আজীবন চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২১শে জুন মঙ্গলবার সকালে স্বাভাবিকভাবেই শিশু দুটির জন্ম হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, সকাল ১০টার দিকে উপজেলার শশইয়া এলাকার সোহাগ মিয়ার স্ত্রী ঝুমুর আক্তার নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে প্রথমে একটি শিশুর জন্ম দেন। এর ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর আরেকটি শিশুর জন্ম হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে নবজাতক দুটির নাম রাখা হয় দেশের আলোচিত সেতুর নামে পদ্মা  ও সেতু। নবজাতক ও তাদের মা সুস্থ আছেন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে নবজাতকদের উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা-সংক্রান্ত সব ধরনের সুবিধার ক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাবে। আজীবন তাদের বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হবে।

এর আগে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক সঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অ্যানি বেগম (২৪) নামের এক নারী। খুশিতে তিন সন্তানের নাম রেখেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সঙ্গে মিলিয়ে, স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। গত ১৭ জুন শুক্রবার দুপু‌রে নারায়ণগঞ্জ শহরের হেলথ রিসোর্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক সঙ্গে ১ ছেলে ও ২ মেয়ে জন্ম দেন তিনি। অ্যানি বেগম বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার আশরাফুল ইসলাম অপুর স্ত্রী। অপু পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আশরাফুল–অ্যানি দম্পতি ছেলের নাম রেখেছেন স্বপ্ন। আর দুই মেয়ের নাম রেখেছেন পদ্মা ও সেতু, যা এক সঙ্গে হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বর্তমানে মা ও সন্তানরা সুস্থ আছেন।

এরপর ২০শে জনু সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জে আশরাফুল ইসলাম অপুর বাসায় পদ্মা সেতুর নামে নাম রাখায় খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার শামীম মুসফিক নবজাতকদের দেখতে যান । তিনি জানিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ তিন নবজাতককে এক ভরি করে ৩টি পৃথক স্বর্ণের চেইন, ফলমূল ও পোশাক দিয়েছেন।  এ সময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম. কুদরত–এ–খুদা, বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা, বন্দর উপজেলা (ভূমি) কর্মকর্তা সুরাইয়া ইয়াসমিন সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপুর স্ত্রী অ্যানি বেগম ওই সময় ৩ সন্তান নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত