নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হুসাইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকারের চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। তার ফাঁড়ি এলাকার ইট ভাটা হতে শুরু করে ইটভাটা,অবৈধ জ্বালানী তেলের দোকানসহ সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে বীর দর্পে গোপন সূত্রে জানা যায়, তার আওতাধীন ইটের ভাটা ২৫-৩০ টি। প্রতিটি ইটের ভাটা হতে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে মাসোহারা দিতে হয়। এছাড়াও মদনপুর লেগুনা ষ্ট্যান্ড হতে প্রতি সপ্তাহে ৩ হাজার টাকা করে দিতে হয়। মদনপুর-টু-বন্দরগামী ষ্ট্যান্ড হতে ১৫ দিন পর পর আড়াইহাজার টাকা করে মাসোহারা দিতে হয়।
মদনপুর-টু-বরাবরদী রোডে সিএনজি ষ্ট্যান্ড হতে প্রতি ১৫ দিন পর পর ৩ হাজার টাকা করে মাসোহারা দিতে হয়। সরকারী পরিবহন বি.আর.টিসি ষ্ট্যান্ড হতে প্রতি সপ্তাহে ২ হাজার টাকা করে দিতে হয়। স্বদেশ কাউন্টার হতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ শ’ টাকা দিতে হয়। মদনপুর শ্রাবন পরিবহনের ষ্ট্যান্ড হতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ শ’ টাকা দিতে হয়। এমনকি ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা ষ্ট্যান্ড ২টি যেমন, মদনপুর-টু-বন্দরগামী ষ্ট্যান্ড হতে প্রতিদিন ২শ’ টাকা করে দিতে হয় এবং মদনপুর-টু-বরাবরদী অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ড হতে প্রতিদিন ৩শ’ টাকা করে দিতে হয়। জানা যায়, ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারের ৪/৫ জন সোর্সদের মাধ্যমে মাসোহারার টাকাগুলো কালেকশন করে থাকে।
আরোও জানা যায়, দেওয়ানবাগ হতে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে সরকারী জায়গায় কিছু অবৈধ তেলের দোকান আছে যা থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু হাদিয়া দিতে হয়। যদি না দেয় তবে মারধর শুরু করে। আরও জানা যায়, প্রতিদিন সকালে মদনপুর এসে চর্তুদিকে ঘুরে ফিরে নিজ কার্যালয়ে চলে যায়। রাতের আধাঁরে হাইওয়ে পথচারীদের তল্লাশির নামে হয়রানী করে থাকে। ভুক্তভোগী জানান, আমরা সাধারণ মানুষ সারাদিন কাজ করে বাড়ী ফেরার পথে ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমাদের চেক করে পকেটের মধ্যে মাদক দ্রব্য যেমন, ইয়াবা, গাঁজা ইত্যাদি ঢুকিয়ে দিয়ে বলে চল এবার তোকে শ্বশুর বাড়ী নিয়ে যাবো। তখন পুলিশের ভয়ে আমাদের কাছে থাকা দিন মজুরীর টাকা দিয়ে হাতে-পায়ে ধরে ছাড় পেতে হয়। উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুশীল সমাজের প্রাণের দাবী।