নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামরে রেখে আগামী ১৫ই জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন, শপিংমল, দোকানপাটসহ প্রায় সবকিছুই চালুর অনুমোদন দেয়া হতে পারে। একইসঙ্গে কোরবানির হাটও চালুর অনুমতি দেয়া হবে। যেকোনও সময় এসব বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আগামী ১৪ই জুলাই দুই সপ্তাহের চলমান বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে। এই দুই সপ্তাহের ফলাফল দেখেই মূলত ঈদ সামনে রেখে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় বিধিনিষেধ শর্ত শিথিল করা হচ্ছে। এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুরহাট বসানো, শপিংমল খুলে দেয়া এবং সিটি করপোরেশন ও জেলার ভেতর বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হতে পারে।
তবে দূরপাল্লার বাস ও যাত্রীবাহী লঞ্চ-ট্রেন চলাচল যথারীতি বন্ধ রাখা হবে। আর ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশনা আসতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করতে সংক্রমণ পরিস্থিতির ওপর। আর ঈদের পর আবারও কঠোর লকডাউনে যেতে পারে সরকার।
আসন্ন ঈদুল আযহা সামনে রেখে চলমান বিধিনিষেধের বিষয়ে সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে জানিয়ে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, ১৩ই জুলাই মঙ্গলবার এসব বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত ১লা জুলাই থেকে সারা দেশে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। প্রথম দফায় ৭ জুলাই মধ্যরাতে চলমান এ লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এরইমধ্যে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আরও ৭ দিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে। সেই সুপারিশ আমলে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৭ই জুলাই থেকে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়।
এবারের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রথম দিন থেকেই মাঠে মোতায়েন করা হয় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ সহ সারা দেশে কয়েক হাজার মানুষকে আটক করে জরিমানাও আদায় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।