নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ আদমজী ইপিজেডের সুপ্রীম নিট ওয়ার লিঃ নামে একটি পোশাক তৈরির কারখানাটি শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতেই কারখানার গেটে বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে কর্তৃপক্ষ কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। এ কারখানার শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস, খাবার ও যাতায়াত ভাতা, টিফিন বিল বৃদ্ধির দাবিতে গত রবিবার ও সোমবার কর্মবিরতি পালন করে আসছিল। অপর দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রীম নিট ওয়ার লিঃ কারখানায় এডমিন ইনর্চাজ আতাউর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এতে পোশাক তৈরির কারখানাটি শ্রমিককে আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, সুপ্রীম নিট ওয়ার লিঃ কারখানায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০টাকা, খাবার ও যাতায়াত ভাতা ১৫৩০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, টিফিন বিল ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা ও বেতন ভাতা রাতে না দিয়ে দিনের বেলা বেতন ভাতা পরিশোধ করার দাবিতে রবিবার ও সোমবার কর্মবিরতি পালন করেছে। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কারখানাটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সোমবার রাতে কারখানার গেটে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, অনিবার্য কারণ বশত কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারখানার সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
এ বিষয়ে সুপ্রীম নিট ওয়্যার লিঃ কারখানার জিএম ( এডমিন কম্প্লায়েন্স ) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শ্রমিকরা শান্তভাবে কাজ করার কিছুটা ব্যাঘাত আমরা দেখিছি। তাই আপাতত আমরা কারখারাটি বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবারও কারখানাটি খুলে দেয়া হবে।
সুপ্রীম নিট ওয়ার লিঃ কারখানায় এডমিন ইনর্চাজ আতাউর রহমার বলেন, শ্রমকিরা মালিককের উপর চাপ সৃষ্টি করে অজুক্তিক ভাবে দাবি আদায় করে খারখানায় উৎপাদন বন্ধ করায় এ মামলা করা হয়েছে।
শিল্প পুলিশ-৪, নারায়ণগঞ্জ এর উপ-পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন জানান, সুপ্রীম নিট ওয়ার লিঃ খারখানাটি অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। শ্রমিকদের ২-৩ টি দাবি-দাওয়া ছিল। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনেও নিয়েছিল। তাদের ওভার টাইমের সময় টিফিন বিল ৩০ টাকা ছিল। পরে শ্রমিকরা প্রথমে ৩৫ টাকা দাবি করেছিল। কর্তৃপক্ষ তা মেনেও নিয়ে ছিল। পরে তারা ৪০ টাকা দাবি কনে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে শুনেছি।