নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জে কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্সে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরী করার সময় জহিরুল ইসলাম (৪৪) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ দল। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড সংলগ্ন চাঁন সুপার মার্কেটে অবস্থিত কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স ( সিডি কমপ্লেক্সে ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভুয়া ডাক্তার মো: জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডাক্তার মো: জহিরুল ইসলাম এর কাছ থেকে এমবিবিএস, পিজিটি (মেডিসিন এন্ড গাইনী), সিএমইউ (ডিইউ), ডিএমইউ (ডিইউ), (সনোলজিস্ট) মেডিসিন, মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক নামীয় ৪ জন রোগীর ৪টি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ও ১টি রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), ১টি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ১টি প্রিন্টার, রোগী দেখার স্টেথিস্কোপ-১টি, ১টি ভুয়া অটোসীল, ১টি স্ফেগমোম্যানোমিটার জব্দ করা হয়।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক তালুকদার নাজমুছ সাকিব গন্যমাধ্যমকে এক সংবাদ বিবৃতে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে মো: জহিরুল ইসলাম এর বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বেজোড়া এলাকায়। সে দীর্ঘদিন নিজেকে বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স ( সিডি কমপ্লেক্স ) নামে প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত রোগী দেখা এবং রোগীদের বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরী করে আসছে। সে তার নামের পাশে ডাক্তারী ডিগ্রী হিসেবে নিজেকে ডা. মো: জহিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, পিজিটি (মেডিসিন এন্ড গাইনী), সিএমইউ (ডিইউ), ডিএমইউ (ডিইউ), (সনোলজিস্ট) মেডিসিন, মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স ( সিডি কমপ্লেক্স ) চাঁন সুপার মার্কেট ৩য় তলা, মুক্তি স্বরণী, চিটাগাংরোড়, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ নামে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ও প্রেসক্রিপশন ফরমে উল্লেখ করেছে বলে জানা যায়।
তিনি আরো জানান, নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে গ্রেফতারকৃত আসামীর এমবিবিএস ডাক্তারী সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে সে কোন এমবিবিএস ডাক্তারী সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখাতে পারেনি। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জানায় স্থানীয় স্কুল হতে ১৯৯০ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৩ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে ২য় বিভাগ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। সে মূলত -মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট- হিসেবে কাজ করত। ২০০৩ সালে প্রায় ৫,০০০০০০ টাকা দিয়ে একটি নকল ভারতীয় এমবিবিএস/এএম সার্টিফিকেট ক্রয় করে এবং তা ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। সে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার ও (সনোলজিস্ট) মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন কুমিল্লা ডায়াগনিস্টিক কমপ্লেক্স ( সিডি কমপ্লেক্স ) এ রোগীদের প্রেসক্রিপশন ও আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মনগরা রিপোর্ট তেরী করে আসছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।