অব্যবস্থাপনায় প্রাণ হারাচ্ছে শত বছরের ঐতিহ্য কাইকারটেক হাট

নারয়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় শত বছরের পুরোনো  মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাট । কোষা নৌকা, পোতা মিষ্টি, কাঠ, বাঁশ ও কৃষিজাত পণ্যের জন্য কাইকারটেক হাট নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় সুপরিচিত। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে তরমুজ, চাল, ডালসহ কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হয়। কাইকারটেক হাট

এছাড়াও ঈদুল আজহার সময় নারায়ণগঞ্জের অন্যতম একটি পশুর হাট এখানে বসে। শত বছরের পুরোনো এই হাট এখনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কোষা নৌকা কেনাবেচার জন্য সব স্থানের মানুষ এ হাটে ভিড় করে।

তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে চলেছে এই হাটটির পুরনো ঐতিহ্য। এখন আর সকলধরনের পন্যজাত নিয়ে বাজারজাতকরণের সেই সরগরম দেখা যায় না। কাইকারটেক হাটটি বসে প্রতি রোববার।  প্রায় ৫০ বিঘা জমির উপর কাইকারটেক হাট বসে কিন্তু হাটটিতে প্রয়োজনীয় তেমন শৌচাগার নেই। নদ-নদীর তীরে কোনো ঘাট নেই। প্রাণ হারানোর পথে হাটটির ঐতিহ্য ধরে রাখতে এর উন্নয়নে  সহযোগীতার হাত বাড়াচ্ছেনা কোন জনপ্রতিনিধি। কিংবা স্থানীয় সরকার নিচ্ছে তেমন কাইকারটেক হাটকোন ব্যবস্থা। এ নিয়ে নানা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলপথ ও সড়ক পথে পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধার্থে নদ-নদীর তীরে  হাট বসানো হয়। সোনারগাঁ উপজেলা ছাড়াও পাশের বন্দর, আড়াইহাজার, কুমিল্লার মেঘনা, দাউদকান্দি ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাসিন্দারা হাটে নানা পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করেন।

হাটের ইজারাদার বলেন, এই হাটে নদের তীরে ঘাট নির্মাণ করা একান্ত দরকার। তা ছাড়া হাটে প্রয়োজনীয় শৌচাগার নেই। এ ছাড়া রয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। এসব সমস্যার সমাধান হলে মানুষ হাটের প্রতি আরও বেশি আগ্রহ নিয়ে বেচাকেনা করতে আসবে।

যতই  দিন  যাচ্ছে এই শত বছরের হাটটি তার নিজ ঐতিহ্য হারাচ্ছে তাই স্থানীয়  এলাকাবাসীর একটাই দাবি স্থানীয় সাংসদ  ও  এলাকার প্রভাবশালীমহল  যেনো এগিয়ে আসে এই   হাটটির প্রান রক্ষায় অবদান রাখে।এতে সোনারগাঁ ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য।

add-content

আরও খবর

পঠিত