নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সোনারগাঁ থেকে ১২ জনকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার সকালে কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত এম. কে ফুডস্ ও এম.এম কনজুমার নামে দুটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুড শরবত এবং ভেজাল কয়েল তৈরির অপরাধে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, মো. সুমন মোল্লা, রকিবুল ইসলাম, ফয়সাল আহম্মেদ, রাজু বেপারী, খায়রুল আলম, হাবু বেপারী, রাকিব হোসাইন, আব্দুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, তাহমীদ ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও রাশেদ গাজী।
এ সময় দুই কারখানা হতে আনুমানিক সাত হাজার ৩শ বোতল অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত ও বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন কয়েল এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত এসপি মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে উক্ত দুই কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছিল।
এম.এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাম্বু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরি ও প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল।
এম.কে ফুডস্ এর উৎপাদনকৃত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুডস শরবতগুলো প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টি সল্ট, স্যাগারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘাম, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার ও রংসহ মোট ১৬ ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল ও যৌন উত্তেজক শরবত উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে হয় বলে আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির টেকনিশিয়ানের প্রাক্কলনে দেখা যায় কারখানা দুটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকার গ্যাস চুরি করে আসছিল। পরবর্তীতে তিতাস গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ উক্ত কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।