অবরুদ্ধ মামুনুলকে মুক্ত করলো হেফাজত সমর্থকরা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে এক নারীকে নিয়ে অবরুদ্ধ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে কর্মী-সমর্থকরা। এরপরই রিসোর্টটিতে ভাংচুর চালায় উত্তেজিত কয়েকশত কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে সর্বশেষ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে রয়েছে।

আজ ৩ই এপ্রিল শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে নারীসহ আটক হন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক। যদিও ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছেন তিনি। হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান জানান, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক দুটি বিবাহ করেছেন। তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শনিবার সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এসেছিলেন। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী তাকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের সাথে ধস্তাধস্তিতে মামুনুল হকের পরনে থাকা জামাটিও ছিড়ে গেছে।

এদিকে এ ঘটনাটি মুর্হুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। একটি ভিডিওতে  দেখা গেছে, এক ভিডিওতে আটক মামুনুল হককে বলতে শোনা যায়, তার সাথে থাকা নারীর নাম আমিনা তাইয়্যেবা। ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি খুলনাতে বিয়ে করেছেন। তার শ্বশুরের নাম জাহিদুল ইসলাম বলে জানান মাওলানা মামুনুল হক।

এদিকে নেতার অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হেফাজতে ইসলামের কয়েকশত কর্মী-সমর্থক রয়েল রিসোর্টের সামনে এসে জড়ো হন। পুলিশের হেফাজত থেকে তারা মাওলানা মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে রিসোর্টের ভেতরে ব্যাপক ভাংচুর চালান কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানসহ জেলার অন্যান্য নেতারা।

এদিকে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কর্মীদের ভাংচুরের ঘটনায় অবরুদ্ধ আছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্নাসহ সরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা। রিসোর্টের বাইরে উত্তেজিত হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা অবস্থান নিয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত