নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ এর দুইটি সরকারী হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম একটি খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। অন্যান্য সরকারী হাসপাতালের মতো এখানে ডাক্তার সংকট থাকলেও সংকট নেই প্রতারক কিংবা দালাল চক্রের সদস্যদের। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে এখানে সেখানে লিখে রেখেছেন প্রতারক ও দালাল হইতে সাবধান। হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে টিকেট কাউন্টারের সামনে রোগীদের লম্বা লাইন। এটুকুই শেষ নয় ডাক্তার পর্যন্ত পৌঁছাতে রোগীদের লাইনে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ প্রসঙ্গে শিরিন বেগম নামে এক রোগী জানান, “টিকেট কাটতে আসছি সেই ৭ টায় কিন্তু ডাক্তার তো ১০ টার আগে আসেনা।”
এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে মোট ১২টি ইউনিট থাকলেও সচল রয়েছে ১১টি। মানসিক রোগের ডাক্তার নেই দীর্ঘদিন যাবত। এই ইউনিট বন্ধ থাকার কারণ কয়েকজন স্টাফ নার্সের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা কেউই যথাযথ কারণ জানাতে পারেননি তবে বছরখানেক হলো এই ইউনিটটি বন্ধ আছে বলে তারা জানান।
হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে ব্লাড, ইউরিনসহ রয়েছে ১৭ ধরনের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা। এছাড়াও ই.সি.জি, এন্ডোস্কপি এবং আল্ট্রাসনোগ্রামের ব্যবস্থাও রয়েছে। এরপরও রোগীরা প্যাথলজী বিভাগে দালালদের হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে বাহিরের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করাচ্ছে। এর পেছনেও কাজ করছে আরেকটি দালাল চক্র। তারা রোগীদের কৌশলে তাদের নির্ধারিত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
কিন্তু এক্স-রে সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইলে হয়রানির শিকার একজন রোগী জানান তিনি বুকের এক্স-রে করতে দিলে তাকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয় তা দেখে ডাক্তার জানান সেই রিপোর্টে হাতের এক্স-রে রয়েছে।