নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনের ঘটনা পরিদর্শন করেছে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের একটি টিম । বুধবার দুপুরে সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে তদন্ত টিমটি বন্দরে আসেন । রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিছের নেতৃত্বে ৫জন পুলিশ নিহত ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের বাসাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও পাওনাদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদিকে গতকাল বুধবার সকালে নিহত ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের কাছ থেকে পাওনাদাররা তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছে। গত ১১ মার্চ ইঞ্জিনিয়ার পারুক ঢাকা মগবাজার রেল গেইটে রেলের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর আগে সে একটি চিরকুটে লেখে গেছে ভূমি দস্যু মিয়া সোহেলের চাপেই সে আত্মহত্যা করেছে। তার মৃত্যুর পরেই নারায়ণগঞ্জ মার্কেন্টাইল ব্যাংক বাড়ির সামনে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে যে এ বাড়িটি ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ।
এলাকাবাসী জানান, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ৩৬০ ডিগ্রী এঙ্গেল নামক মাল্টিপারর্পাস নামক ঋনদান প্রতিষ্ঠান খুলে ৭শত ৩৭ জনের কাছ থেকে ঋন দেয়ার পট্রলোভন দেখিয়ে লোকদের কাছ প্রাথমিক জমা বাবদ প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের সাথে ভূমি দস্যু মিয়া সোহেলও তার পার্টনার ছিল। এখন ইঞ্জিনিয়ার ফারুক দেওলিয়া হওয়ায় মিয়া সোহেল ভিন্নদিকে মোড় নেয়। বিভিন্ন স্থান চাউর করতে থাকে মিয়া সোহেলও ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের কাছে প্রায় কোটি টাকার উপড়ে পাওনা। মিয়া সোহেল স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে একটি সালিশ বৈঠক বসিয়ে বিভিন্নভাবে ইঞ্জনিয়ার ফারুকের স্ত্রীকে তার পাওনা টাকা দিতে চাপ দেয়। ভূমিদস্যু মিয়ার সোহেলের পাওনা ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ১০ মাসে পরিশোধ না করলে তারা ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের ফ্লাটবাড়ী দখল করে নিবে বলে ইঞ্জিঃফারুকের স্ত্রীকে হুংকার দেয়।
এলাকাবাসী আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের সু-সময়ে স্থানীয় অনেক লোকই সুবিধা গ্রহন করছিল। আর ইতিপূর্বে মিয়া সোহেলের ছেলের সাথে ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে সম্পর্ক আরো গাড় করে। ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের সুসময়ে মিয়া সোহেল অনেক সুবিধা গ্রহন করলেও ফারুকের ক্রানিকাল ক্ষনিয়ে এলে তখন মিয়া সোহেল কৌশলে ইঞ্জিনিয়ার ফারুকের মেয়র কাছ থেকে তার ছেলেকে বিভোর্স দিয়ে ওল্টো পাওনাদার হয়ে যায়। মিয়া সোহেলের অতিরিক্ত চাপের কারনেই ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা রেলওয়ে পুলিশের দারোগা আনিছ জানান, রেলের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তদন্ত চলছে। আমরা বিভিন্ন লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে সে বিপুল প্ররিমান টাকা ঋন ছিল তা প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবু আমরা আত্মহত্যার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।