শিশুকে একজিমা মুক্ত রাখুন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্বাস্থ্য বার্তা ) : শিশুদের একজিমা প্রতিরোধে পিতামাতার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশী। শিশুর ত্বকে যে কোন ধরণের চুলকানি হলে প্রাথমিক অবস্থায় কোন ডাক্তারের কাছে না গিয়ে যে কোন ধরণের ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। শিশুকে এলার্জিক ফুড যেমন: বেগুন, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ দেবেন না। বিরত রাখতে হবে উলেন বা সিনথেটিক কাপড় পরানো থেকে। রাতে যে কোন ধরণের এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ দিতে পারেন।

প্রাথমিক চিকিৎসায় যদি ভালো না হয় তবে অবশ্যই কোন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া মনে রাখতে হবে শীতে শিশুদের ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও শিশুদের যথাযথ চিকিত্সা ও পরিচর্যা প্রয়োজন। শিশুর জন্য শীতে একটা ভালো ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। কোনভাবেই শিশুর ত্বক জাতে শুষ্ক না হতে পারে তা দেখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে লোশন ক্রিমের পাশাপাশি স্বল্পমাত্রার টপিক্যাল স্টেরয়েড অথবা টেকরোলিমাস জাতীয় ওষুধের ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতিত এধরনের ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়।

একজিমা বা এটোপিক ডার্মাটাইটিস শিশুদের একটি অতি সাধারন চর্মরোগ। যেসব শিশুদের এ ধরণের চর্মরোগ দেখা দেয় তাদের পিতা মাতারা বছরের পর বছর ধরে ডাক্তারের কাছে ছুটিছুটি করেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কোন সুফল পান না। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের চর্মরোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভূল চিকিৎসার ঘটনাও কম নয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের যেকোন ধরণের চর্মরোগ হলে প্রথমে পিতা-মাতাগণ শরণাপন্ন হন শিশু বিশেষজ্ঞগণের কাছে।

প্রাথমিক চিকিত্সাটা পায় শিশুরা সেখানে। কিন্তু শিশুদের চর্মরোগ চিকিত্সা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে শিশু বিশেষজ্ঞগণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করছেন অথবা অপ্রয়জনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ভূল চিকিৎসার ঘটনাও ঘটছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শিশুদের চর্মরোগের চিকিৎসা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞগণই করে থাকেন। পেডিয়াট্রিক ডার্মাটোলজি বিভাগ নামে শিশুদের জন্য রয়েছে আলাদা বিভাগ রয়েছে ঢাকা শিশু হাসপাতালে।

শিশুদের একজিমার প্রধান উপসর্গ হলো শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি উঠে এবং চুলকায়। অনেক সময চুলকানোর স্থান লাল হয়ে যায় এবং কিছুটা খসখসে হয়ে যায়। এমনকি আক্রান্ত স্থান থেকে তরল জাতীয় ফ্লুইড নি:সরিত হতে পারে। শিশুদের এটোপিক ডার্মাটাইটিস ৫ বছর বয়সের মধ্যেই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা দেয়। কিন্তু সঠিক পরিচর্যা ও চিকিত্সার মাধ্যমে এ ধরণের একজিমা অত্যন্ত ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে গরম গামাছি, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস ও সোরিয়াসিস এর সঙ্গে প্রায় একই রকম দেখা যায়। তাই ডায়াগণসিসে সমস্যা হয়। সাধারণত একজিমা কপাল, মুখ, হাত, পা ও ত্বকের ভাজে প্রথমে দেখা দেয়। তবে শরীরের অন্যান্য স্থানেও হতে পারে।

এটোপিক একজিমা চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে কতগুলো অতিসাধারণ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হবে। যেমন: আক্রান্তের ধরন বুঝে উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক, উপযুক্ত কোন সেটরয়েড ব্যবহার, চুলকানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন সেবন এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ভালো ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ঠিক করবেন কোন ধরণের ওষুধ শিশুর জন্য প্রয়োজন। এছাড়া নন ষ্টেরয়ডাল ক্রিমও দেয়া যায়।

মনে রাখতে হবে ক্ষারযুক্ত সাবান, গরমপানিতে গোসল, সিনথেটিক কাপড়, এলার্জিক ফুড, আক্রান্ত শিশুর রোগের তীব্রতা বাড়াতে পারে।

add-content

আরও খবর

পঠিত