নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আওয়ামীলীগ নেতার ছোট ভাই নিহত বাবুল (৪৫) এর অপমৃত্যু মামলাটি অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ই ডিসেম্বর শনিবার রাতে আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৫(১২)২১ ধারা- ৩০২/ ২০১/ ৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
মামলা দায়েরের ওই রাতে বাবুল হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম পাটুয়ারীসহ সঙ্গীয় র্ফোস বন্দর থানার কুশিয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই এলাকার আক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে রাজু (৩০) ও একই এলাকার ইল্লাল ওরফে হিল্লাল মিয়ার ছেলে লতিফ (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ১৯ই ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলা ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে ১৭ই ডিসেম্বর শুক্রবার বন্দর থানার কুশিয়ারা এলাকার মৃত খাজা হোসেন সরদারের ছেলে ও আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই রং মিস্ত্রি বাবুল মিয়া (৪৫) নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় এক মেম্বার অবগত করে। পরে ওই মেম্বার বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করলে সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় প্রথমত অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। পরে অপমৃত্যুর মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তর পর অপমৃত্যু মামলাটি পরে হত্যা মামলায় দায়ের হয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম জানিয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছোট ভাই বাবুলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম পাটুয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা ১নং ও ২নং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।