নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : মহামারী করোনার মধ্যেই যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু ভয়াবহতা। ইতমধ্যে সারাদেশেই এতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি ফতুল্লা এনায়েতনগর ইউনিয়নের আফাজনগর এলাকায় একজন নারীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। এতে করে আতংকে রয়েছে ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয়রা অনেকেই ক্ষোভ নিয়ে বলছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবকিছুই এগুচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় সিটি করপোরেশন এলাকগুলোতে মশক নিধনের জন্য বিভিন্নসময় নানা ব্যবস্থা নিলেও ইউনিয়নগুলো অবহেলিত। বরাদ্দ অনুযায়ী নাসিকের এলাকগুলোতে মশক নিধন করতে দেখা যায়। তবে ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়না।
বক্তাবলী ইউনিয়নের বসিন্দা রফিক বলেন, সর্বশেষ কবে মশা মারার স্প্রে দিয়েছে তা মনে নেই। দিয়েছে কিনা তাও সন্দেহ আছে। শুনছি ডেঙ্গু রোগী নাকি বাড়ছে। তবে আমরা আর কি করমু। অতিরিক্ত মশার কামড় থেকে বাচঁতে মশারী টানায় রাখি।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা খুব শিঘ্রই একটা ব্যবস্থা নিবো। তবে ইউনিয়ন এলাকায় সত্যিকার অর্থে পযাপ্ত দেয়া সম্ভব হয় না। যে কারণে মশার উপদ্রব থেকেই যায়। এদিকে মশাক নিধনে যেসব ঔষধ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে ভালোটা কিনতে গেলে অনেক ব্যয়বহুল। যা আমাদেরকেও ভুর্তুকি দিয়ে নিয়ে আসতে হয়। তবে এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন বাজেট পাস হয়নি।
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন জানান, মহামারী করোনার মধ্যে ডেঙ্গু এখন এরক বড় সমস্যা হয়ে দাড়াতে পারে। এজন্য আগে থেকেই আমাদের ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী। তবে ঔষধ ছিটানোর ক্ষেত্রে তেমন কোন বাজেট থাকে না। আমরা বিবিধ থেকেই ব্যালেন্স করে ইউনিয়নবাসীকে সেবা দেই। সেক্ষেত্রে বিত্তবান যারা আছে, তারাও যদি এগিয়ে আসে তাহলে জনগনের উপকার হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনায়েত নগর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা জানান, গত দু বছর আগে যখন ডেঙ্গু সহ চিকুন গুনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তখন চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ অনেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ফগার মেশিন দিয়ে ঔষধ স্প্রে করেছিল। এরপর ঢিলেঢালা চললেও। এই বছর মশক নিধনে কোন ব্যবস্থাই দেখা যায়নি। দেয়া হয়নি মশক নিধনে কোন স্প্রে।
তথ্য মতে, জেলায় সিটি করপোরেশন রয়েছে একটি। পৌরসভা রয়েছে ৪টি। এছাড়া বাদ বাকী সব ইউনিয়ন। যেসব ইউনিয়ন এলাকায় রয়েছে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতি বছর বাজেট হয়। সেই বাজেটে নানা উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ থাকে। তা থেকে বছর জুড়ে খরচ হয়। ইউনিয়নগুলোর নিজস্ব আয় যেমন রয়েছে তেমনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, এলজিএসপিসহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমেও অর্থ পায়। এরপরও মশক নিধনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যুগ যুগ ধরে অবহেলিত হয়ে আসছে ইউনিয়ন এলাকায়। মশক নিধনে নির্দিষ্ট কোন প্রকার বরাদ্দ দেয়া হয় না।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা জানান, মশক নিধনে নির্দিষ্ট কোন বরাদ্দ আসেনি। তবে এ বিষয়ে খুব দ্রুত কার্যক্রম নিবো। আর সেখানে অবশ্যই ইউনিয়নের জন্য ভাবা হবে।