নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশের কেন্দুয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেপারীপাড়া জামে মসজিদের ওজুখানার ছাদ থেকে গত ৩০ই জুন বুধবার সন্ধ্যায় রামদা, ছোড়া, সামুরাই, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়ালসহ শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় । এ সময় কাউছার (২৫) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই সন্ত্রাসী সফিকুলসহ ১৯ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে ১লা জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত বুধবার অভিযান সমাপ্তি করে রাত ৮ টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের নারায়ণগঞ্জ জেলার (গ) সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী দুইটি রাজনৈতিক গ্রুপের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলছে এরই ধারাবাহিকতায় মহড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে অস্ত্রগুলো মজুদ করে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াসহ আটককৃত যুবক কাওছার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া মজুদকৃত অস্ত্রের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের বালু ভরাটের কাজের নিয়ন্ত্রন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক এবং তার ছোট ভাই সফিকুল ইসলামের সঙ্গে ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে ইতিপূর্বে কয়েকদফা সংর্ঘষ ও একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। গত ২৯ জুন মঙ্গলবার দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটানো হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০/১২ জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে দুই পক্ষের লোকজন ছটকে পরে। এ সময় সফিকুল গ্রুপের এক সন্ত্রাসী কাওছার হোসেনকে আটক করে পুলিশ । পরে তার দেখানো তথ্য মতে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ জানান, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক জনতে গ্রেফতার করেছি। বাদিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, অস্ত্রধারীরা কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।