নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকের বন্ধুদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলেন ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ধর্ষক কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৯ই জুন মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগস্থ ফতুল্লা থানার কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ৪২১ নাম্বার রুমে এই ঘটনাটি ঘটেছে ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার নদুনেফরা গ্রামের মজিব মিয়ার পুত্র ও ফতুল্লা থানার রামারবাগস্থ মোস্তফা কামালের বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ৪১৫ নং রুমের ভাড়াটিয়া নুর আলম (২৫) ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার কামারহাট গ্রামের আ. হালিম মিস্ত্রির পুত্র ও ফতুল্লা থানার সস্তাপুর কাস্টম রোড আলাউদ্দিন এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. রাজু মিয়া (৩২)।
ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, সে স্থানীয় একটি স্পিনিং মিলে কাজ করে এবং নুরে আলম নামক একটা ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সেই প্রেমের সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষিতা কিশোরী তার প্রেমিকের সাথে দেখা করতে রামারবাগস্থ মোস্তফার বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ৪২১ নাম্বার রুমের ভাড়াটিয়া বাসায় যায়। সেখানে গেলে প্রেমিকের বন্ধুরা তাদেরকে বিয়ে করাবে এই কথা বলে। টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে আসার জন্য তাগিদ দিলে প্রেমিক তাকে ধর্ষক বন্ধুদের নিকট রেখে টাকা আনতে বের হয়। এক পর্যায়ে ধর্ষকরা তাকে তার প্রেমিকের সাথে বিয়ে করিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধর্ষকরা তার প্রেমিকের এখানে নিয়ে যাবার কথা বলে তাকে শিবু মার্কেটেস্থ বাসস্ট্যান্ডে দাড় করিয়ে রেখে চলে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক সুকান্ত দত্ত জানায়, প্রেমিকের বন্ধুদের কর্তৃক কিশোরীটি ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি কিশোরী তার পিতা কে নিয়ে ১লা জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি থানায় এসে জানালে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত দুই ধর্ষক নুর আলম ও রাজু কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।