চাঞ্চল্যকর আঁখি হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার সোদি আরব প্রবাসী নজরুল ইসলামের মেয়ে আঁখি আক্তার (২৮) হত্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী খোরশেদ আলম সোমবার বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।

এর আগে গত বছরের ২৫ই আগষ্ট মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে দুই পায়ের রগ এবং গলাকেটে হত্যা করে প্রাক্তন স্বামী রুবেল। ঘটনার পরের দিন  রুবেল, শ্বশুর মফিজুল ইসলাম ও রুবেলের আত্মীয়া নিপা আক্তারকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন আঁখির ভাই খোরশেদ আলম। এ মামলায় গ্রেফতার করা হয় মফিজুল ও নিপাকে। কিন্তু চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামী আঁখির স্বামী রুবেলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

খোরশেদ আলম জানান, তাদের বাড়ি বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকায়। বাবা নজরুল ইসলাম সোদি আরব প্রবাসী। প্রায় ৭ বছর আগে বোন আঁখি আক্তারকে সোনারগাঁও উপজেলার  মুগারচর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে রুবেলের সঙ্গে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ে দেন। হুমায়রা নামে তাদের একটি ৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর দাম্পত্যকলহ দেখা দেয়। ফলে গত বছরের মার্চ মাস তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে বোন সন্তান নিয়ে তাদের বাড়িইে বসবাস করছে। বিয়ে বিচ্ছেদ হলেও রুবেল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আঁখি ও তার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো।

তিনি আরো জানান, গত বছরের ২৫ই আগষ্ট সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রুবেল তার বোনের মোবাইলে ফোন দেয় এবং জরুরী কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আঁখিকে সোনারগাঁওয়ের বাড়ি মজলিস এলাকার আজগর আলী প্রধানের মেয়ে নিপা আক্তারের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে হাত পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঁখির দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। এরপর গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় রুবেলসহ অন্যরা। এ ঘটনায় আঁখির প্রাক্তন স্বামী রুবেল, শ্বশুর মফিজুল ইসলাম ও নিপা আক্তারকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর পুলিশ মফিজুল ইসলাম ও নিপাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে এ দুই জন আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। ইতোমধ্যে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে। কিন্তু দীর্ঘ ১১ মাসেও হত্যা মামলার মূল আসামী আঁখির প্রাক্তন স্বামী রুবেলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নিতে আসামীরা নানাভাবে হুমকিধামকি দিচ্ছে বলে খোরশেদ আলম জানান।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই বদরুদ্দোজা জানান, আঁখি হত্যা মামলাটি প্রায় ৬ মাস আগে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। মোবাইল ট্র্যাকিংসহ নানাভাবে হত্যা মামলার মুল আসামী রুবেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত