নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : ওদের নাম সুজানা, বেবি কিংবা পান্ডা । এগুলো কোন মানুষের নাম নয়। বিড়ালের নাম। শখের বশে এ নাম গুলো রেখেছেন একজন বিড়াল প্রেমী সাবিরা সুলতানা নীলা। শখের বশে তিনি লালন পালন করছেন ১৮টা বিড়াল।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চানমারি একটি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাবিরা সুলতানা নীলা। তার আরেক পরিচয় হলো তিনি জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা এবং রং মেলা নারী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি। বিড়ালের প্রতি তার ভালোবাসার খবর আশে পাশে ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর ধরে বিড়াল লালন পালন করেন সাবিরা সুলতানা নীলা। এদের ভালোবাসেন তার সন্তানের মতো। অবুঝ প্রাণী এসব বিড়াল তাকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। ঘুম থেকে উঠকে দেরী হলে দরজায় দাড়িয়ে শুরু করে দেন চেঁচামেচি । ম্যাক্স নামে তার একটা কুকুরও রয়েছে। সাবিরা সুলতানা নীলা নিজেই এদের খাওয়ান , গোসল করান। এদের নিয়ে নিজেই কেটে দেন সময়। প্রায় দিনই এদের নিয়ে বসে মিলনা মেলা। কেই কাঁধে উঠছে, কেউ কোলে। আবার কেউ চলেছে শরীর ঘেষে । এতেই তার আনন্দ।
সাবিরা সুলতানা নীলা জানান, ছোট বেলা থেকেই গাছ পালা পশু পাখির প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল। আমি এসব অবুঝ প্রাণীকে ভালোবাসি আমার সন্তানের মতো। এখন আমার ১৮টা বিড়াল আছে। আমি নিজেই এদের পরিচর্য করি। খাওয়া দাওয়া গোসল করানো সবই আমি করি। এরা আমার প্রেম। এদের ভালোবাসা আমাকে অভিভুত করে। ওদের ভালোবাসি এর ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা, আমার জানা নেই কিন্তু এটা বলতে পারি আমার সন্তান আমার দেহের পুরো অংশ তেমনি আমার অন্তরের যত টুকু ভালোবসা আমার সন্তানের জন্য, তার একটা অংশ জুড়ে আছে আমার ওরা (বিড়ালগুলো)। শুধু বিড়াল না আমার ঘরে একটি কুকুর আছে, আমার প্রতি তার ভালবাসা আমাকে মায়ায় জড়িয়ে রেখেছে অন্য এক অনুভুতি।
তিনি আরো বলেন, ঘুম থেকে উঠতে দেরী হলে দরজার সামনে এসে ওরা শুরু করে দেয় চেচামেচি। মনে হচ্ছে এটা ওদের বাসা। পান্ডা (বিড়ালের নাম) প্রতিদিন রাতে বাইরে চলে যায় কিন্তু সকালে ঘরে চলে আসে তার বিশেষত্ব হল সে বারান্দার গ্রিল বেয়ে কখনো আসবেনা। সে আমার মেইন গেটে এসে চিৎকার দিয়ে ডাকতে থাকবে যতক্ষন গেট না খুলব এবং ঘরে ঢোকার সাথে সাথে তাকে খাবার দিতে হবে। যেন অনেক কাজ করে ঘরে এসেছে এমন ভাব দেখাবে।
সাবিরা সুলতানা নীলা বলেন, আমার একটা কুকুরও আছে। আমি ওর নাম দিয়েছি ম্যাক্স। আমাকে ও এত ফিল করে যে সারাদিন পরে আমি যখন বাসায় সে আমাকে ধরে পাগলের মতো করে। তাকে আদর করে শান্ত করতে হয়। রাতে ঘুমানোর পর যদি আমি একটি কাশি দেই ও আমার সমস্ত শরীর খুজতে থাকে আমার কি সমস্যা। আমাকে ওর এই আচরন মুগ্ধ করে, অর প্রতি ভালবাসা আরো বেড়ে যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সব সময় জেনে আসছি বিড়াল কুকুর এর সখ্যতা কখনো হয়না অথচ আমার ম্যাক্স ও সব বিড়ালেরা এক সাথে খেলা করে।