স্কুল ছাত্রী মানছুরা ধর্ষণ-আত্মহনন মামলা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরে স্কুল ছাত্রী মানছুরা আত্মহনন মামলার বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী জাকির হোসেন। স্কুল ছাত্রী মানছুরাকে ধর্ষণকারী আসামী হাবিবুর রহমানকে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি বলে মামলার দতন্তকারী দারোগা ফারুক বাদীকে জানিয়ে দিয়েছে। বাদী তাকে তথ্য আদায়ের জন্য অনুরোধ করলে দারোগা তাকে থানা হাজতে ভরে রাখার হুমকি দেয়। এতে করে বাদী ধারণা করছেন পুলিশ আসামী পক্ষের সাথে সমঝোতা করে স্কুল ছাত্রী মানছুরা ধর্ষণ পরে আত্মহনন ঘটনার মামলার বিচার ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার আশংকা করছেন। বাদী জাকির হোসেন বলেন, পুলিশ পারেনা এমন কিছু নেই। নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের মামলার আসামী সেনা সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য উদঘাটন করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী আদায় করতে পেরেছে পুলিশ। আর একজন গার্মেন্টস শ্রমিক ধর্ষণকারীর কাছ থেকে তথ্য আদায় করতে ব্যার্থতা প্রকাশ করছে। এতে করে তিনি বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন। গত ৮ ডিসেম্বর বন্দরের লাঙ্গলবন্দ বারপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে স্কুল ছাত্রী মানছুরাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে একই এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক হাবিবুর ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা বিচার শালিশের নামে কালক্ষেপন করায় ছাত্রী মানছুরা লোক লজ্জার ভয়ে গত ১০ ডিসেম্বর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার পর ধর্ষক হাবিবুর পালিয়ে যায়। গত ২৬ ডিসেম্বর পুলিশ ধর্ষক হাবিবুরকে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তার গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আজ শুক্রবার তার ৭ দিন রিমান্ড শেষ। কিন্তু ৭ দিনেও পুলিশ তার কাছ থেকে কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। এ ব্যপারে মামলার তদন্তকারী দারোগা ফারুক জানান, আসামী হাবিবুরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিন্তু সে মুখ খুলছেনা। তাকে প্রয়োজনে আবারও রিমান্ডে আনা হবে। বাদী জাকির হোসেন জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত