নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস বুড়িগঙ্গায়

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিয়ন্ত্রণহীন একটি যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস বুড়িগঙ্গা নদাীতে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ১৬ই মে রবিবার সকালে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ফেরীঘাটে সাদা রঙের ওই মাইক্রোবাসটি ব্রেক ফেল হয়ে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরি টপকে নদীতে পড়ে যায়। ওই গাড়িতে থাকা এক প্রবাসীর শিশু সন্তান সহ স্ত্রী আহত হয়েছে।

মাইক্রোবাসের মালিক শাহীন মিয়া জানান, তার বাড়ি বক্তাবলীর প্রসন্ননগর। তার গাড়িটি ভাড়ায় চলে। সকালে প্রসন্ননগরের এক নারী তার বিদেশ ফেরত স্বামীকে এয়ারপোর্ট থেকে আনতে গাড়িটি ভাড়া করেন। সকাল ১০টায় গাড়ির চালক সাদেক ওই নারী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে প্রসন্ননগর থেকে রওনা করেন। বক্তাবলী ফেরিঘাটে এসে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছিলেন চালক। তখন শিশুসহ নারী গাড়িতে বসে ছিলেন এবং চালক সাদেক গাড়ির বাহিরে দাড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় উচু সড়ক থেকে গাড়িটি দ্রুত ফেরির দিকে ছুটে চলে। সময় চালক গাড়ির পিছনে দৌড়ে ডাক চিৎকার করে। এতে আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে এসে নদীতে নেমে শিশুসহ নারীকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দিয়েছে। তারা তেমন গুরুতর আহত হয়নি। নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মাইক্রোবাসটির চালক সাদেক জানান, বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকা থেকে জন যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসটি নিয়ে রওনা দেন। বক্তাবলী ফেরিঘাটের কাছাকাছি আসার পরে গাড়ির ব্রেক নষ্ট হয়ে যায়। তিনি বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরেও তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। পরে মাইক্রোবাসটি নিজেই চলন্ত অবস্থায় ফেরির উপর উঠে যায়। কিন্তু ফেরিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় তা বাধাহীনভাবে নদীতে গিয়ে পড়ে। তবে গাড়ির চালক দুই জন যাত্রী নিরাপদে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় ফেরিঘাটের লোকজন।

বিষয়ে ঘটনাস্থলে আসা মণ্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা এখানে এসে প্রথমে মাইক্রোবাসটিকে আটকাই। কারণ তা না হলে স্রোতে এটি অনেক দূরে চলে যেত। এরপর রুপগঞ্জ থেকে একটি ঘটনাস্থলে শক্তিশালী ক্রেন নিয়ে আসা হয়। এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, গাড়িটি নদীতে ডুবে আছে। কোন হতাহতের খবর পাইনি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি এসে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য চেস্টা চালাচ্ছে

add-content

আরও খবর

পঠিত