সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোরী হত্যার অভিযোগ, বান্ধবী আটক

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রুমা (১৭) নামে এক কিশোরী নারী পোশাক শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বান্ধবীর বিরুদ্ধে। আজ ১৫ই মে শনিবার সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় রুমার বান্ধবী টুম্পাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রুমা পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার গনেশপুর এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদ উল ফিতরের দিন রাতে রুমা তার বান্ধবী টুম্পার বাসায় বেড়াতে যায়। আজ ১৫ মে শনিবার ভোর রাত ৪ টার দিকে সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই বান্ধবী রুমার পরিবারকে খবর দিলে তার মরদেহ নিয়ে থানায় হাজির হন।

বর্তমানে মায়ের সঙ্গে তিনি নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তিনগর নয়াআটি এলাকায় আমির পাগলার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। মৃতের মা রহিমা জানান, রুমা আদমজী মুনলাইট গার্মেন্টে চাকরি করতো। তার সাথে কাজ করতো টুম্পা নামে একটি মেয়ে। সে পাঠানটুলি এলাকায় থাকতো। গত ১২ই মে বেতন পাওয়ার পর রুমা আর বাসায় আসেনি। পরে অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ঈদের আগের দিন রাতে রুমা ৩নং ওয়ার্ডে তার মায়ের বাসায় যায়। এ সময় তার মা তাকে বেতনের টাকার কথা জিজ্ঞেস করলে বলে টুম্পা আপুর কাছে আছে। আমি ঈদের দিন সকালে আসবো। একথা বলে সে আবার পাঠানটুলি টুম্পার বাসায় চলে যায়। পরে ঈদের দিন বিকালে টুম্পা তার মাকে ফোন দিয়ে রুমার শারীরিক অবস্থা খারাপ বলে জানায়।

পরবর্তীতে অসুস্থ অবস্থায় রুমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুমার মায়ের দাবী, তার মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। রুমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবী করছেন।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ময়না তদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট বা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বান্ধবী টুম্পাকে আটক করা হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত