নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রিফাত ) : হঠাৎ গ্যাস নেই নারায়ণগঞ্জের কোথাও। কোনও রকম নারায়ণগঞ্জে বিনা নোটিশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ৬ই এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে হুট করে গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ায় শহরের আবাসিক, শিল্প গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে। এতে ৯০ ভাগ মানুষের ঘরেই সকাল থেকে হয়নি কোনো রান্না। কারখানাগুলোয় হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে মেশিন। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন গ্রাহকরা। এদিকে সকাল থেকেই হঠাৎ গ্যাস না থাকায় বিপাকে পড়েন গৃহিণীরা। দুপুরের খাবার রান্না করতে পারেননি অনেকেই। তাই নারায়ণগঞ্জ শহরের অনেক রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলোতে ভিড় জমেছে, কোথাও কোথাও কেনা খাবারও মিলেছে না। আবার কেউ কেউ পছন্দের তালিকার খাবার না হলেও যা পাচ্ছে তা কিনেই পরিবারকে নিয়ে দুপুরের খাবার সেরেছে।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ভালভ প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
তিনি আরো জানান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ দ্রুততার সাথে স্বাভাবিক করতে তিতাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ায়, গ্রাহকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেছেন, ভালভ প্রতিস্থাপনের কাজ স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
এদিকে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই এ ধরনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কঠোর সমালোচনা করেছেন নগরবাসী। এতে করে ভোগান্তি পড়ে নারায়ণগঞ্জবাসী।
নগরীর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা বৃষ্টি জানান, আমাদের নাহলে ২ কিংবা ৩ বেলা না খেলেও চলবে। আমার একটা বাচ্চা আছে ২ বছরের, এরকম অনেকের বাচ্চা আছে। বাচ্চাদের খাবার তো রান্না করতে হবে। অবুঝ বাচ্চারা তো আর ক্ষুধা সহ্য করবে না।
মিশনপাড়া এলাকার বাসিন্দা শরীফ সুমন জানান, বাসার সবাই সকাল থেকে না খাওয়া। বাধ্য হয়েই এখন খাবার কিনতে বের হয়েছি। চাষাঢ়ার প্রতিটি খাবারের দোকানে উপচেপড়া ভিড়। এই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পেটের তাগিদে জীবনকে তুচ্ছ করে পরিবারের ক্ষুধা মেটাতে বের হয়েছেন। যদি ২ বা ১দিন আগে নোটিশ দিতো তাহলে তো সবাই খাবার হয়তো আগে রান্না করে রাখতে পারতো।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল আরএমএস এবং গোদনাইল টিবিএস এ কয়েকটি ভালবে লিকেজ থাকায় জরুরি ভিত্তিতে এগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় ৬ই এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টার থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। প্রতিস্থাপন কাজ শেষে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।