নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোন মাওলানা বক্তব্য দিলেই সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না। অনেক ছাড় দিয়েছি। আপনারা মাওলানা হয়েছেন। আপনাদের কাজ কি। ধর্ম প্রচার করুন। কোরআনের কথা প্রচার করুন। তার বদলে আপনারা কি করছেন। ধর্মের নামে কুশিক্ষা দিচ্ছেন। যদি একটা বলেন ধর্মের কথা ১০টা বলেন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বদনামের কথা। বাংলা ইংরেজী বই পড়েন। অর্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মাওলানা গিরি করবেন না। ভদ্রভাবে কথা বলুন। আদবের সহিত কথা বলুন। শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপূর্ণ একটি দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল একটি দেশ। সারা বিশ^ যেখানে আমাদের প্রশংসা করছে। সেই দেশকে উত্তপ্ত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতি দিয়ে দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছেন। আপনারা না মুসলমান। সেই দিন আপনারা বায়তুল মোকারামে ৬শ কোরআন শরিফ পুড়িয়েছেন। সেই দিন তো আমরা সেখানে যাই নাই। এই যদি আপনাদের চরিত্র হয়। তাহলে আপনাদের সঠিক পথে আনার জন্য বঙ্গবন্ধু সৈনিকরাই যথেষ্ট। ২৬ই মার্চ শুক্রবার বিকাল ৩টায় খানবাড়ি এলাকায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে থানা যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সেদিন কত জন মাওলানারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। কত জন মাওলানাদের ছেলে এই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। তার তালিকা প্রকাশ করা হউক। আমরা দেখতে চাই। আজ মাওলানা সাহেবেরা ফতুয়া দিচ্ছেন। সেদিনও ফতুয়া দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা জারজ সন্তান। এখনও মাওলানা সাহেবরা ফতুয়া দিচ্ছেন। এত সহজ না। ১৯৭১ সনের স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশকে রাহু কবল থেকে মুক্ত করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। এত সহজ না। আজ আমরা বঙ্গবন্ধর আদর্শকে ধারন করে জননেত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবদিক দিয়ে প্রস্তুত। মোকাবিলা করতে চান। আমরা মোকাবিলার জন্য সর্বক্ষণ প্রস্তুত রয়েছি। এত সহজভাবে সবকিছু আপনারা বলবেন না।
শিশু বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে উদ্দেশ্য করে এমএ রশিদ বলেন, কি যেন একটা নাম ওই মাওলানার। মাদানী না ফাদানী হবে। ছোট একটা পিপড়ার বাচ্চা এতটুকু একটা ছেলে। যে বক্তব্য আপনি দেন সংযত হউন। লেখাপড়া শিখেন। অর্ধলেখাপড়া শিখে আপনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কোন বক্তব্য দিবেন না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কেও কোন আলোচনা করবেন না। লেখাপড়া শিখুন তারপর ভাল করে বক্তব্য দেন। শুধু বসে বসে মাওলানা গিরি করবেন না। আপনারা কি করেন সব জানি। আমরা সেদিন চোখে শর্শাফুল দেখেছিলাম। পাখির মত আমাদের সেদিন আপনারা মেরে ফেলতেন। বাংলাদেশের ৪ কোটি মুসলমান সেদিন ইন্ডিয়ার বর্ডার দিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল। সেদিন ইন্দ্রিরাগান্ধী জীরা যদি আমাদের সহযোগিতা না করত তাহলে আমাদের অবস্থা কি হত। নিরস্ত্র মানুষকে আপনারা অস্ত্র ধরেছেন। নিরিহ মানুষদের আপনারা হত্যা করেছেন। আমার কাছ থেকে ১শ গজ দূরে সিরাজদৌল্লা মাঠে নিরিহ মানুষকে আপনারা গান পাউডার দিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছেন। এই হল আপনাদের নমুনা। সেদিন যদি বর্ডার খুলে দেয়া না হত আমরা কোথায় আশ্রয় নিতাম। সেদিন একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল ভারতে। একেই বলে মানবতার সেবা। সেদিন ৯টি মাস তারা আমাদের লালন পালন করেছেন এটা অস্বীকার করা যায়না। কৃতজ্ঞতা যে স্বীকার না করে তাকে আল্লাহ পছন্দ করে না। এই হাদিস কি আপনারা জানেন না। আপনাদের না জানারই কথা কারন সেদিন আপনারা মসনদে বসে রাজাকারগিরি করেছেন। পাখির মত নিরিহ মানুষ হত্যা করেছেন। এখন আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আর কোন ছাড় দিব না।
জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব চান মিয়া, বন্দর থানা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শহিদ হাসান মৃধা,বন্দর থানা আ’লীগ নেতা শাহজাহান মোল্লা, যুবলীগ নেতা মো. মাসুম আহমেদ, ডালিম হায়দার, লুৎফর রহমান প্রমূখ।
যুবলীগ নেতা শেখ মমিন ও সায়মন খানের সার্বিক তত্বাবধানে অতিথিদের কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ খান, আব্দুস সালাম মৃধা, আব্দুল গফুর খান, মোশারফ হোসেন খান, কাজী নাসির, জালাল উদ্দিন জালু, জব্বর সরদার, কাজী ইস্রাফিল, মোবারক হোসেন, আব্দুল আজিজ, আশরাফ খাঁন, মাজহারুল ইসলাম প্রমূখ।