বন্দর গ্যাসের গোডাউনে ডাকাতি, উদ্ধার হয়নি এখনো মালামাল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল বাসস্ট্যান্ডে বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাসের গোডাউনে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হলেও রহস্যজনক কারনে এখনো মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাসের বন্দর থানা ডিস্টিবিউটার গোডাউনে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।  ১৪/১৫ জনের ডাকাত দল কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে নগদ টাকাসহ গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি পিকআপ ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।

২৪শে ফেব্রয়ারি বুধবার দিবাগত রাতে জাঙ্গাল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মেসার্স কাউসার এন্টারপ্রাইজে এ ডাাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ২৫শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মদনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃদুল(২৮) আল-আমিন (২৩) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মৃদুল সোনারগাঁ উপজেলার চেঙ্গাইন এলাকার আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে ও আল-আমিন ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার চনবাধেরা এলাকার মোস্থফা ভুইয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে কাউসার এন্টারপ্রাইজের মালিক হারুন- অর-রশিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী হারুন-অর রশিদ জানান, তিনি গত ৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দরের জাঙ্গাল বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আলমাস ভুইয়ার টিনশেড গোডাউন ভাড়া নিয়ে বসুন্ধরা কোম্পানির এলপিজি গ্যাসের ব্যবসা শুরু করেন। এর পূর্বে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে কে বা কাহারা ০১৮৬১০৪৫৯০৬ ও ০১৭১৩৫৭৭৫৭৩ নাম্বারে হুমকি দিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বলে। উপরোক্ত যে দুইটি মোবাইল নাম্বার থেকে হুমকি প্রদান করে তা অনুসন্ধান নিয়ে জানা গেছে প্রথম রবি নাম্বারটি বন্দর ধামগড় ইউপির আমৈর কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ মোল্লার ছেলে হাফেজ মাওলানা নাইমুল ইসলাম বুলবুল ব্যবহার করেন। যিনি সৌদি আরব জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। সেই সাথে মদিনার বুলবুল নামে পরিচিত। দ্বিতীয় গ্রামীন মোবাইল নাম্বার সোনারগাঁ উপজেলার ললাটি গ্রামের মৃত: জয়নাল মিয়ার পুত্র ও জাতীয় পার্টির নেতা পরিচয় পরিচিত সানাউল্লাহ শাহ অর্থাৎ ডিস সানাউল্লাহ ব্যবহার করেন। বুধবার রাতে অজ্ঞাত নামা ১৪/১৫ জনের ডাকাত দল গেইটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাত দল কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে বেদম পিটিয়ে নগদ চার লক্ষ টাকা সহ গ্যাস ভর্তি পিকআপ ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ড্রাইভার মৃদুল সহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। এবং গ্যাস ভর্তি এলপিজি বোতল উদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মন্জুর করলে ও পুলিশ রহস্যজনক কারনে তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য বাহির করতে পারেনি।

এদিকে হারুন-অর রশিদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এক দিকে ব্যাংক লোনের টাকা পরিশোধ করতে তাগাদা অন্যদিকে মহাজনের সুদের টাকা নিয়ে ব্যাবসা চালানো। তার একমাত্র দাবী মেসার্স আরিফ এন্টার প্রাইজের আরিফ, নাঈমুল ইসলাম বুলবুল ও সানাউল্লাহ শাহ্ এই তিনজনকে আটক করে আইনের আওতায় জিজ্ঞাসা করলে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। সেই সাথে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা যাবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত