নিশ্চুপ সিটি করপোরেশেন, অবৈধ দখলে বহাল কে এই খোরশেদ ?

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে ঘর তুলে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করার অভিযোগ উঠলেও এখনো বহাল তবিয়তে খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসা। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও অদৃশ্য কারণে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মুঠোফোনে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  মো. আবুল আমিন প্রতিবেদককে বলেছিলেন, সার্ভেয়ার কালামকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বসবো। কোন অবৈধ দখল আমরা হতে দিবো না। সরেজমিনে গিয়ে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিবো। সিটি করপোরেশনের জায়গায় অনুমতি ছাড়া কেউ কেন ঘর র্নিমাণ করবে, আর কেউ কেনই বা অবৈধ বনিজ্য করবে। আমরা এরকম হলে বিষয়টি দেখবো।

অভিযোগ রয়েছে, জিমখানায় কোন রকম অনুমতি ছাড়াই টিন সেড ঘর নির্মাণ করে দোকান ভাড়ার এডভান্স বাবদ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখেরও বেশী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে খোরশেদ। তবে জায়গাগুলো সিটি করপোরেশনের আওতাধীণ হলেও বিনা অনুমতিতে প্রতিমাসের ভাড়া বাবদ কারো কাছ থেকে ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে কাইল্যা খুইসা ও তার বাহিনীরা।

জানা গেছে, শহরের জিমখানা বস্তি এলাকার বাসিন্দা মৃত কালু সরদারের ছেলে সে। এর আগেও তার অপর্কমের কারণে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে খোরশেদ। প্রকাশ হয়েছে, পুরান জিমখানা এলাকার আনোয়ার মিয়ার পাটাতন ঘর দখল করে নিয়েছিল সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাইল্যা খুইস্যা। তাছাড়া রেলওয়ের কর্মচারী আব্দুল জলিলের সরকারী কোয়ার্টার এক জনপ্রতিনিধির সাইনবোর্ডে বিএনপি নেতার নাম ভাংগিয়ে দখল করে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। সেই কোয়ার্টারের ভেতরে কয়েক লাখ টাকার দামি গাছ ও রেলওয়ের দামি লোহা বিক্রি করে দিয়েছে কাইল্যা খুইসা। সেই কোয়ার্টার মিনি হোসিয়ারী, ভেতরে নিটিং মিল ও সামনে দোকান নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকা অগ্রীম হাতিয়ে নেয় সেই খোরশেদ।

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খোরশেদের রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ও নব গঠিত কিশোর গ্যাং। যাদেরকে দিয়ে মাদক পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসা এখন বিশাল টাকার মালিক। তার কাছে ম্যানেজ হয়ে অনেকেই এখন নিশ্চুপ। আবার কেউ কেউ তার র্কমকান্ডে ভীত সন্তস্ত হয়ে নাম প্রকাশ করতেও আতংকিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু দোকান মালিক বলেন, আমরা খোরশেদের কাছে দোকান ঘরের এডভান্স বাবদ কেউ ৩০ হাজার কেউ ৫০ হাজরেরও বেশী দিয়েছি। আর প্রতিমাসে তো ভাড়া বাবদ ৬-১০ হাজার দেইই। সিটি করপোরেশনের জায়গায় বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে ব্যবসা করা ঠিক হচ্ছে কিনা প্রতিবেদক জানতে চাইলে বলেন, এখানে সবকিছুই খোরশেদ ভাই দেখেন। সবাইকে ম্যানেজ করেই খোরশেদ ভাই আমাদের দোকান দিসে। তবে আমাগো কথা কিছু বইলেন না, তাহলে আমাদের সমস্যা করবো।

তবে এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসা কে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি বিধায় নতুন কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এর আগে তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে সকল অভিযোগ অস্বিকার করেছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, এ জমি সিটি করপোরেশনের ঠিক। তবে ঘর এর বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই সকল অভিযোগ মিথ্যা। যারা এখন দোকানদারী করছে তারাই দোকান উঠিয়ে ব্যবসা করছে। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেই না।

add-content

আরও খবর

পঠিত