নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জায়গায় অবৈধভাবে দখল বানিজ্য করে বহাল তবিয়তে রয়েছে জিমখানার খোরশেদ ওরফে কাইল্লা খোরশেদ। অথচ সল্প দূরেই অবস্থিত সিটি করপোরেশনের মেয়র এর নগর ভবন কার্যালয়। তবে মেয়রের নাকের ডগায় এমন অবৈধ দখলদারের অবস্থান থাকলেও এ নিয়ে কিছুই জানেন না সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ রয়েছে, শহরের মন্ডলপাড়া পুলের সড়কের পাশেই জিমখানা এলাকায় কোন রকম অনুমতি ছাড়াই টিনসেড ঘর নির্মাণ করে দোকান ভাড়ার এডভান্স বাবদ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখেরও বেশী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই খোরশেদ। কিন্তু জায়গাগুলো সিটি করপোরেশনের আওতাধীণ হলেও বিনা অনুমতিতে প্রতি মাসের ভাড়া বাবদ কারো কাছ থেকে ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে কাইল্যা খুইসা ও তার বাহিনীরা।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্ববাহী কর্মকর্তা মো. আবুল আমিন প্রতিবেদককে বলেন, সার্ভেয়ার কালামকে নিয়ে ১১ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বসবো। আপনিও চলে আসেন। তবে কোন অবৈধ দখল আমরা হতে দিবো না। বৃহস্পতিবার যেয়ে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিবো। সিটি করপোরেশনের জায়গায় অনুমতি ছাড়া কেউ কেন ঘর নির্মাণ করবে, আর কেউ কেনই বা অবৈধ বনিজ্য করবে। আমরা এরকম হলে বিষয়টি দেখবো।
এর আগে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কথামত সার্ভেয়ার কালাম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে প্রতিবদেক তিনি নিশ্চিত করে জানান, ওই জমি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেরই। তবে খাল খননের কাজ চলছে বিধায় সেখানে সুযোগে হয়তো কে বা কারা ঘর তুলেছে। তবে সার্ভেয়ার হিসেবে বিভিন্ন সময় পরির্দশনে গিয়ে বর্তমানে জমিটি দখল রয়েছে এমন দেখার পর তিনি সিটি করপোরেশন এর কোন উর্ধŸতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন কিনা ? এ প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, জানাই নি, কিন্তু জানাবো।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায়, পুরাতন ও নতুন জিমখানার এক মূর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে কাইল্যা খুইসা। মন্ডল পাড়া ব্রীজের পাশেই তার শেল্টারে পরিচালিত হয় নানা অপরাধ কর্মকান্ড। ওই স্থানটিতেই গড়ে উঠেছে ফার্নিচার, কাঠ এর স মিল, মুদি দোকান সহ ১০ থেকে ১৫টির মত দোকান ঘর। অবৈধভাবে নেয়া বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে চলছে সে ঘরগুলো। এরআগে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছে খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসা। রয়েছে নানা অপকর্মের বিস্তর অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু দোকান মালিক বলেন, আমরা খোরশেদের কাছে দোকান ঘরের এডভান্স বাবদ কেউ ৩০ হাজার কেউ ৫০ হাজরেরও বেশী দিয়েছি। আর প্রতিমাসে তো ভাড়া বাবদ ৬-১০ হাজার দেইই। সিটি করপোরেশনের জায়গায় বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে ব্যবসা করা ঠিক হচ্ছে কিনা প্রতিবেদক জানতে চাইলে বলেন, এখানে সবকিছুই খোরশেদ ভাই দেখেন। সবাইকে ম্যানেজ করেই খোরশেদ ভাই আমাদের দোকান দিসে। তবে আমাগো কথা কিছু বইলেন না, তাহলে আমাদের সমস্যা করবো।
তবে এ নিয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ ওরফে কাইল্যা খুইসার সাথে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি। কিন্তু এরআগের প্রতিবেদনে নেয়া বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ অস্বিকার করেছেন।