নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে থানা পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ করে পুলিশের অস্ত্র চুরির মামলার আসামীকে থানা হাজত থেকে ছাড়িয়ে নিতে এসে গ্রেফতার হলেন সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরনকারী ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনার হোতা ধুরন্ধর প্রতারক শহিদ। ২২ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত শহিদ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কামদেপপুর থানার জয়নাল আবেদীনের পুত্র। সে স্বপরিবারে ফতুল্লা থানার রেলস্টেশন চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকায় বসবাস করে বলে জানা যায়।
জানা যায়, ফতুল্লা থানা পুলিশের অস্ত্র চুরির মামলার আসামী ডাকাত সর্দার আজমীর কে অটোরিক্সার চোরাই মালামাল সহ ২১শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকেই আজমীরকে ছাড়িয়ে নিতে তার পরিবারের নিকট থেকে নগদ অর্থের সুবিধা গ্রহন করে দিনভর তদবির করে। তদবির ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার রাতে প্রতারক শহিদ ফতুল্লা থানা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে ফতুল্লা থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন সহ উপস্থিত থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে অশোভন আচরন সহ মারমুখি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। এ সময় সে নিজেকে পুলিশের ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয় বহন করে থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের হুমকী প্রদান করে বলে ও জানা যায়।
থানায় সাংবাদিকদের দেখে গ্রেফতারকৃত শহিদ বলেন যে, ১০ জন কে আমি ওসি বানিয়েছি আর আজ আমাকেই কিনা থাকতে হচ্ছে থানা হাজতে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ডাকাত সর্দার আজমীর সহ তার সহযোগিদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদকালে জৈনক শহিদ গ্রেফতারকৃত আজমীরের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে এসে ওসির রুমে প্রবেশ করে আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করে। এ সময় শহিদকে পাশের অভর্থ্যনা কক্ষে গিয়ে বসার জন্য অনুরোধ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত ফতুল্লা থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের দেখে নেবার হুমকী সহ ফতুল্লা থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন কে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, ডিআইজি, আইজির নিকট থেকে আমি যে কোন কাজ আদায় করে নিয়ে আসি আর আর আপনারা তা করলেন না। এ বিষয়ে আমি (শহিদ) খুব মাইন্ড করলাম। আমার নাম শহিদ আমি সকলকে দেখে নিবো বলে হুমকী প্রদান করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আজমীর কে ছাড়িয়ে নিতে এসে শহিদ আমাদের কাজে বাধা প্রদান করা হুমকী প্রদান করলে ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়ছে।
এর আগে আজমীর গ্রেফতারের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গ্রেফতারকৃত শহিদ নিজেকে ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরন সহ মাই টিভির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং ক্যামেরা ভাংচুর করে বলে জানা যায়।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে, গ্রেফতারকৃত শহিদ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের আইজি,ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে স্থানীয় মহলে প্রভাব বিস্তার করে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্ম দিয়ে আর্থিক ফায়দা গ্রহনের পাশাপশি ফতুল্লা, রেলস্টেশন আলীগঞ্জ, পিলকুনী, তক্কার মাঠ সহ আশপাশের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে মাসোহারা গ্রহণ করে। সূত্রটির দাবী করে গ্রেফতারকৃত শহিদের সাথে একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই গ্রুপের সাথে বেশ গভীর সখ্যতা রয়েছে।