নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে সম্পত্তি নিজের নামে লিখে না দেয়ায় স্বামী ইব্রাহীম (৫৫) এর পুরুষাঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পাষন্ড স্ত্রী। ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত নামক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষ অবস্থায় ইব্রাহীমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানান, ইব্রাহীমের সাথে বিভিন্ন মহিলাদের সাথে সখ্যতা ছিল। এনিয়ে তার ২য় স্ত্রীর সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। এর সূত্র ধরেই ২য় স্ত্রী তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। এলাকাবাসী আরো জনান, ইব্রাহীমের এক ভাই অনেক বছর আগে এক মহিলাকে ধর্ষণ করতে গিয়ে খুন হয়।
এদিকে, স্বামীর পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে রাতেই ঘাতক তথা তার ২য় স্ত্রী শাহীনুর বেগম কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী’র ছেলে ইসমাইল বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি মামলা রুজু করে।
জানা গেছে, গত ৫ বছর পূর্বে বন্দরের মালামত এলাকার মৃত ওমর আলী বেপারীর ছেলে ইব্রাহীম (৫৫) প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগমকে রেখে ৪ সন্তানের জননী শাহীনুর বেগমকে ২য় বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকেই শাহীনুর ও তার ২ ভাই আফজাল ও আবু ভুক্তভোগীর বিষয় সম্পত্তি নিজেরদের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এতে ইব্রাহিম বরাবরের মত অস্বীকৃতি জানালে গত ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে শাহিনুর দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ইব্রাহিমকে অচেতন করে গভীর রাতে তার পুরুষাঙ্গ ব্রেড/ছুড়ি দিয়ে কেটে পালিয়ে যায়।
আহত ইব্রাহীমের প্রথম স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয়া মেয়ে আইরীন জানান, তার পিতা ইব্রা্হীম তার মাকে রেখে ২য় বিয়ে করার পর আর তাদের বাড়িতে থাকেনা। সে তার সৎ মাকে নিয়ে অন্য বাড়িতে বসবাস করে। পিতার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার সংবাদ পেয়ে রাত ৩টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেয়া হয়।
তিনি আরো জনান, তার সৎ মা শাহীনুর বন্দরের হালুয়াপাড়া এলাকার মৃত হযরত আলীর মেয়ে। সেছিল তার মামি শ্বাশুড়ি। তার মামা শ্বশুড় আলী হোসেনকে বিভিন্ন ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করে নিস্ব করার পর তার পিতার সাথে বিয়ে করে। তার পর থেকে তার পিতা তাদের সাথে তেমন একটা যোগাযোগ রাখেনি।