নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : শুনে আসছি মেয়েরা ব্যবহার করা কপালের টিপের আঠা নষ্ট হলেও সেটা যত্ন করে রেখে দিত। এক জোড়া কানের দুলের একটা দুল হারিয়ে গেলেও অন্যটা যত্ন করে রেখে দিত। মেয়েরা শত কষ্ট-যন্ত্রনা পেয়েও মায়ার টানে ভালোবাসার সংসার টিকিয়ে রাখতে চেয়ে কি চোখে পড়ছে। প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে যাচ্ছে সাজানো গোছানো সুখের সংসার। বন্দরে দিন দিন ক্রমাগত হারে বেড়েই চলছে পরকিয়া।
এ পরকিয়ার কারনে নিমিষেই ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদের মত ঘটনা। মাদক যেমন যুব সমাজের সুন্দর ভবিষ্যতকে নষ্ট করে তেমনই পরকিয়ার কারনে শত শত নারী ও পুরুষের সাজানো সংসার ভেঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে পারিবারিক ঝামেলা। আবার কেউ কেউ পরকিয়ার টানে শিশু সন্তান ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে প্রেমিকের সঙ্গে। মুহুর্তেই তছনছ হয়ে যাচ্ছে সাজানো সংসার।
এ ব্যাপারে বন্দর বাবুপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া নাপিত খোকন গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, ৮ বছর যাবত আমার সংসার। আমার ৬ বছরের একটি মেয়ে আছে। আমার মেয়ের ভবিষ্যত উজ্বল করার লক্ষে আমি প্রতিদিন হার ভাংঙ্গা পরিশ্রম করি। গত ৩ মাস পূর্বে আমার স্ত্রীর ৪ ভরি সোনা ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে অন্য একটি ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। ৩ মাস হয়ে গেলো এখনো তার কোন সন্ধান পাইনি।
এ ব্যাপারে ঘারমোড়া এলাকার বাসিন্দা খাইরুল আলম পাশা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল ফোন, ইমুর অপব্যবহার করার কারনে আমাদের সমাজে পরকিয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরকিয়া কারনে অনেক সংসার নষ্ট হচ্ছে বেশি। এ অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায় জনসচেতনতা তৈরী করা।
বন্দর থানার তথ্য মতে, পূর্বের তুলনায় বর্তমানে বন্দরে পরকিয়া ঘটনা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। বন্দর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের মধ্যে বেশি ভাগ অভিযোগ হলো নারী সংক্রান্ত।