নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : লাশ সৎকারে এবার এগিয়ে এসেছেন গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সৈকত হোসেন। তার এমন সহমর্মিতায় বেশ বাহবাও দিচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে সৎকার কার্যক্রম শেষ হলেও রক্তের সম্পর্কেও বিচ্ছিন্নতা দেখে কিছু আক্ষেপ তাকে যেন তারা দিয়ে বেড়াচ্ছে।
শনিবার (২৪ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে এমনই আক্ষেপ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সৈকত হোসেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, আজকে আমার ওয়ার্ডের সনাতন ধর্মের ফ্যামিলির একজন সদস্য হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। একমাত্র পুত্র সন্তান থেকেও কাছে আসলেন না, পরিবারের ইচ্ছায় মুখাগ্নি করলেন মৃতব্যক্তির স্ত্রী। সাথে আমার কিছু প্রচেষ্টা।
করোনার মহামারির সময়ে যেখানে জন্মদাতার লাশ সৎকারে অনীহা প্রকাশ করেছে একমাত্র সন্তান, সেখানে অন্য ধর্মের হয়েও মানবতার টানে লাশ সৎকারে এগিয়ে আসলেন এই জনপ্রতিনিধি। তাই এ বিষয়ে তাঁর অনুভূতি জানতে চাইলে সৈকত মেম্বার বলেন, আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে এসে দাড়িয়েছি, যেখানে পরিবারের একজন সদস্য মারা গেলে অন্য সদস্যরা মৃত ব্যক্তির কাছে আসতে চায় না।
এটি খুবই অমানবিক ও হৃদয় বিদারক। জন্মেছি যখন, মরতে একদিন হবেই। এটা চিরন্তন সত্য। তাই মৃত্যুকে ভয় করে মানবিকতা থেকে সরে আসাটা কাপুরুষের পরিচয়। আমরা যতসাধ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই লাশ সৎকার করেছি। এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা মেনে চলার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বেই সৈয়দপুর কড়ইতলা এলাকায় বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের মাঝে সরকারি ও নিজ উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন সৈকত মেম্বার। এছাড়াও লকডাউনে দিশেহারা পরিবারগুলোর ফোন পেয়ে খাদ্য নিয়ে তাদের বাড়িতেও ছুটে গেছেন তরুন এই জনপ্রতিনিধি। কিছুদিন আগে স্ত্রী’র ঈদ কেনাকাটার অর্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেন সৈকত হোসেন।