নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে ঢাকার অধিবাসীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপরই স্থান করে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ। এজন্য নারায়ণগঞ্জকে করোনার ক্লাস্টার বলছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তবে এতটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হলে, কেন এই জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত করার জন্য র্নিনয় কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে না। আইইডিসিআর কে এমন প্রশ্ন রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এক সাক্ষাতকারে তিনি উল্লেখিত কথা বলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জনগনের স্বার্থে জরুরী বার্তা দিতে চেয়ে তিনি আরো বলেন, করোনা প্রার্দুভাব ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এরআগেই আমাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহন জরুরী। তা না হলে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হব।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ও সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল টিমও কিন্তু হিমিশিম খাচ্ছেন। যেহেতু তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নেই। তাই তারাও বিভিন্নস্থানে করোনা উপসর্গ সন্দেহ রোগীদের সেবা দিতে অপরাগতা জানাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে সারাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, এমন একটি তথ্য দিয়ে আইইডিসিআর যেহেতু সম্মেলন করে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি আহ্বান জানাবো যেন দ্রুত এই জেলার মানুষের জন্য করোনা নির্নয়ে কেন্দ্র ব্যবস্থা করা হয়।
ভিপি বাদল বলেন, যেসকল বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জে করোনা শনাক্তকরণে কাজ করবে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে অনুরোধ থাকবে চিকিৎসকদের বড় সংগঠন বিএমএ ও স্বাচিব এর যারা নেতৃবৃন্দ আছেন, উনারা যেন সাধারণ মানুষের স্বার্থে যোগাযোগরে জন্য একাধিক নাম্বারগুলো প্রকাশ করে। প্রয়োজনে সংবাদ মাধ্যমের সহযোগীতা নেয়। কারণ এগুলো জনসাধারণের জন্য খুবই জরুরী। তাহলে সাধারণ মানুষ সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন ভোগান্তিতে পড়বে না। নিশ্চিন্তে সেবা গ্রহন করে উপৃকত হবে।