নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ : এহসানরে আমি গতবার ভোট দেই নাই, আমি ভুল করসি কিন্তু এই ভুল জীবনে আর করতে চাইনা। এহসান নির্বাচিত হইয়া আমাগো ইউনিয়নবাসীরে অনেক কিসু দিসে। আমি নিজের লইগ্গা কিসু চাইনা, আমি ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে সামনের নির্বাচনেও এহসানরে চেয়ারম্যান হিসেবে চাই। আর যার জন্য খাটসি সে কোন ভালো ফলাফল দেখাতে পারে নাই। কিন্তু এহসানের লইগগা না খাটলেও কখনো অসম্মানিত করে নাই। সে মানুষকে সম্মান করতে জানে। সে একজন ভালো শিক্ষিত ব্যাক্তি, বিচার করতে বইলে মোটা চিকন দেখেনা, ন্যায় বিচার করে। ইউনিয়নের কোন কাজের লইগগা আমারে আর ইউনিয়নবাসীরে দেখসি কখনো ফিরায় দেয় নাই। আমাদের ইউনিয়নের হগল কাজ দায়িত্ব সহকারেই করতাসে। শুক্রবার ২৯ এপ্রিল রাতে মিল্কিপুর এলাকায় এক উঠান বৈঠকে আবেগাপ্লুত হয়ে চলিত ভাষায় এভাবেই মতব্যাক্ত করেন বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারায় খেটে খাওয়া কৃষক মতি মিয়া।
এসময় নতুন প্রজন্মদের পক্ষ থেকে একজন নব্য ভোটার বলেন, আমরা লেখাপড়া করছি আমরা অনেক কিছুই বিবেক বুদ্ধি দিয়ে ভেবে কাজ করি। আমি এহসান উদ্দিন আহমেদের পাশে এসে দ্বাড়িয়েছি একজন যোগ্য নেতৃত্বের জন্য। বর্তমানে ভোটারদের মধ্যে কিছু আমাদের সমর্থন করছে আবার কিছু করছেনা সমর্থন করছে না এটাই স্বাভাবিক। আমাদের এমপি সাহেব সেলিম ওসমান একজন বিচক্ষন ব্যাক্তি আর তাই যোগ্য র্প্রাথী হিসেবে এহসান ভাইকে সর্মথন দিয়েছেন। একটি পরিবারের জন্য অভিবাবক হিসেবে পিতা-মাতা যেমনি সন্তানদের নিরাপত্তাসহ সকল মূল দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তেমনি একজন চেয়ারম্যানকেও অনেক দায়িত্বশীলতার মধ্য দিয়ে ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে ও নিরাপত্তায় অভিবাকের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
তিনি র্বতমানে চেয়ারম্যান থেকে ওনার কাজের মাধ্যমে সেই যোগ্য অভিবাবকের ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন। তাই এবারো আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ র্নিবাচনে তাকে আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চাই। অনেকেই এরই মধ্যে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে যা কোন ভালো মানুষের কাজ নয়। কিছুদিন আগেও শোনা গেছে আমরা যারা কাজ করবো তারা ভোট দিতে যেতে পারবো না, রাতে ঘোমাতে পারবো না। এমনকি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে একের পর এক নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। একজন চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের জন্য যে কাজ করার দরকার সে তা করেছে হয়তো কিছু ভুল করেছে। এখনো কোনো কোনো কাজ হয়তো সম্পূর্ন হয়নি তার কারণ সে একজন চেয়ারম্যান। তিনি তো একজন মন্ত্রী নয়। উনার দ্বারা তো পদ্মা সেতু বা যমুনা ব্রীজ করার মতো ক্ষমতা রাখেন না। তাদেরকে কাজ আনার জন্য কিছু নিয়ম আছে, সীমাবদ্ধতা আছে। আমি একজন শিক্ষিত নতুন ভোটার হওয়ায় আমি চাইবো যাকে দিয়ে সমাজের উন্নয়ন হবে তারই সমর্থন করা উচিৎ। তাই আমি যোগ্য নেতার হিসেবে এসান আহাম্মেদ এর পাশে এসে দ্বাড়িয়েছি । আপনারা তাকে ভোট দিয়ে ইউনিয়নবাসীর জন্য উন্নয়ণ কাজে আরও সফলতা র্অজনে সহযোগিতা করুন।
এহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি র্বতমানে চেয়ারম্যান আছি এবং পূনরায় নির্বাচনে দাড়িয়েছি তা আপনাদের জন্যই। তাই আমি আমার ইউনিয়নবাসীর কাছে চীর কৃতজ্ঞ। আর আমি আমার ইউনিয়নবাসীর জন্য যতটুকু সম্ভব হয়েছে করেছি এবং আগামীতেও করবো ইনশাল্লাহ। আজ আমার বিরুদ্ধে একটা কুচক্রী মহল পিছু লেগেছে তারা বলে আমি নাকি ওয়ারিশ এর ব্যবসা করেছি। আমি নাকি রাজাকার পরিবারের সন্তান। কিন্তু আমি আমার আত্মবিশ্বাস নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনাদের মধ্যে কোন একজন ব্যাক্তি প্রমান দেখান আমি ওয়ারিশের ব্যবসা করেছি। কারো হক মেরে খেয়েছি, কাউকে অন্যায় ছাড়া শাসন করেছি। যদি আমাকে কোন একজন ব্যাক্তি প্রমান দেখাতে পারেন, বলেন তাহলে আমি আর নির্বাচন করবনা। আমি আমার মা বোনদের নিরাপত্তা জোড়দার করেছি। এই পুরুষ শাসিত দেশে নারীরা যেন নিপিড়ীত না হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছি। হ্যাঁ আমার অপরাধ হতে পারে কারন আমি কাউকে অন্যায়ের পশ্রয় দেইনি। ভূমিদস্যুদেরকে আপনাদের কষ্টে গড়া জমি তাদের দখলে দেইনি। এজন্য হয়তো আমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতে পারে। তারপরেও তাদের কাছ থেকেও আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু আপনারাই একবার ভেবে দেখুন, বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন আমি কি আপনাদের উপর অন্যায় বা জুলুম করেছি। আজ আপনারা কুশিযারা এলাকায় এতো সুন্দর একটা পরিবেশে উঠান বৈঠকের আয়োজন করে আমার মনে সাহস জুগিয়েছেন তাই আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত।
তাই আপনাদের অনুপ্রেরণাতেই পুনরায় র্নিবাচনে দাড়বার সাহস করেছি। আমি আমার পরীক্ষার ফলাফলটা জানতে চাই। প্রতীক নয় যোগ্য প্রার্থীকে র্নিবাচিত করুন। আমি আপনাদের সাথে মিলে মিশে মাটির মানুষ হয়ে কাজ করতে চাই। বিগত ৫ টি বছর চেয়ারম্যান হয়ে আমি যে পরীক্ষাগুলো দিয়ে আসলাম তার জন্য আমাকে আপনারা কত ভালো ফলাফল দিবেন।