নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শেরপুর সংবাদ দাতা ) : শেরপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ডাক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২৩ মার্চ সোমবার দুপুরে শেরপুর পৌরসভার গোপালবাড়ী এলাকার সদর উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাক্তার এবং সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা শারমিন রহমান অমি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সিজার করার সমস্ত যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) ডা: মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই কেন্দ্রে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন না। গত দুই বছরে এই কেন্দ্রে মাত্র তিনটি সিজারিয়ান অস্ত্রোপাচার হয়েছে। এছাড়াও (মোস্তাফিজুর) সিজার করতে আসা রোগীদের অন্যত্র প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। ফলে তার অবহেলা ও গাফিলতিতে এসব মূল্যবান ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়েছে। এবং রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা হবে বলে তিনি জানান ।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বক্তব্য সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে এই কেন্দ্রের দোতলা ও তিনতলা ভবনটি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর এরই অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ওষুধ ভাণ্ডারটি পরিচ্ছন্ন করার সময় দেখা যায়, সেখানে অব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পড়ে আছে। এসব ওষুধের মধ্যে মূল্যবান সেফট্রিয়াক্সন, মেট্রোনিডাজল, কটসন ইনঞ্জেকশন, স্যালাইন, গজ-ব্যান্ডেজসহ অজ্ঞান করার ও এন্টিবায়োটিক ওষুধ রয়েছে। এ ছাড়াও বন্ধ্যাত্বকরণ উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য শাড়ি ও লুঙ্গি রয়েছে। পরে এসব ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রীর অধিকাংশ ভাণ্ডার ও বিভিন্ন কক্ষ এবং ভবনের ছাদে পাওয়া যায়।
এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে সোমবার দুপুরে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. পীযুষ চন্দ্র সূত্রধর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এতে চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) ডা: মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অনিয়ম এবং অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা ও আইনানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।