নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের অসমাপ্ত রেখে যাওয়া মসজিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। যাতে করে আগামী রমজানের মাসের মধ্যেই মুসুল্লীরা মসজিদটি নামাজ আদায় করতে পারেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ার) বিকেলে বন্দরের কবিলের মোড় এলাকাতে প্রয়াত শ্রমিক লীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদ স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তাঁর বড় ভাই সেলিম ওসমানের কাছে উক্ত দাবীটি রাখেন।
শুক্কুর মাহমুদের স্মৃতি চারন করতে গিয়ে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ নির্বাচনে উনি এই আসন থেকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পরও আমার বড় ভাই প্রয়াত নাসিম ওসমান এবং আমার জন্য মোট তিন তিনবার ছাড়া দিয়েছেন। যার কারনে আমরা নির্বাচন করে এমপি হয়েছি। শুক্কুর আহম্মেদকে আমি চাচা বলে সম্বোধন করতাম। তারপরও উনার সাথে আমার সম্পর্কটা ছিল অনেকটা বন্ধুর মতই। কথা বলার সময় আমরা যেমন ঝগড়া করতাম তেমন অনেক দুষ্টুমিও করতাম উনার সাথে। কিছুদিন আগে আমি ওমরা হজ্বে থাকা কালীন চাচা আমাকে ফোন দিয়ে ছিলেন। উনি আমাকে বলেছিলেন উনি একটি মসজিদ বানাচ্ছেন আমাকে দিয়ে সেটি উদ্বোধন করাতে চান। উনি আমাকে তখন বলে ছিলেন আমি যদি নাও থাকি মসজিদের কাজটা যেন বন্ধ না হয়। আর উনার ছেলে বিষয়ে বলেছিলেন উনি উনার ছেলেকে সেলিম ওসমান বানাতে চান। আমি যেন উনার ছেলেকে কিছু শেখাই। উনি যে এভাবে চলে যাবেন আমি ভাবতেও পারিনি। আজকে আমার ছোট ভাই শামীম ওসমানও একই দাবী রাখলেন আমার কাছে। আমি বলবো শুক্কুর চাচা মসজিদ বানানোর যে স্বপ্ন দেখেছেন যে কাজ অসমাপ্ত রেখে গেছেন সেটি অবশ্যই সম্পন্ন হবে খুব দ্রতু সময়ের মধ্যে। উনার দেখে যাওয়া স্বপ্ন আল্লাহর ঘর বানানোর কাজে সহযোগীতা করে শরীক হতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের হবে। আগামী রমজানের আগেই মসজিদটির কাজ সম্পন্ন করা হবে যাতে করে রমজান মাসে মুসুল্লীরা সেখানে নামাজ আদায় করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে একজন আমার শুক্কুর চাচা আরেকজন মতিন মাষ্টার সারা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। উনারা শ্রমিকের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর আমি মালিক পক্ষের নেতৃত্ব দেই। বহুবার উনার সাথে আমার ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই আমি উনার সাথে হেরেছি। শ্রমিকের মজুুরি আজ ৮হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। সেখানেও শুক্কুর চাচার অবদান রয়েছে। আমি এবং উনি দুজনে মিলেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম। তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। যার ফলে আজকে আপনারা উনার জন্য দোয়া করছেন। আমি যদি আপনাদের সাথে ভূল করে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর দোয়া করবেন যাতে করে আমি কোন ভূল না করি আর ভূল গুলো যেন শুধরে নিতে পারি সেজন্য আপনাদের সকলে কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।