নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নির্বাচনী প্র্রচারণায় ও উৎসবের আমেজে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণ। আসন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম পুরো আদালতপাড়া। প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়মী লীগ ও বিএনপি পন্থী দুই প্যানেলের ৩৪ প্রার্থী আর স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই জন।
তবে উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে এগিয়ে রয়েছে আওয়মী লীগ পন্থী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মোহসিন-মাহাবুব প্যানেল। এরইমধ্যে ডিজিটিাল বার ভবন নির্মাণের অগ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে ব্যপক সুনাম অর্জণ করেছে আওয়ামী লীগ পন্থী আইনজীবী প্যানেলের সাবেক সভাপতি হসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহসিন মিয়া।
সেই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন মো. মোহসিন মিয়া। যিনি ইতমধ্যেই একজন সদা হাস্যোজ্জল ও সদালপি মানুষ হিসেবেও সকল আইনজীবী সহ সাধারণ কর্চারীদেরও মন জয় করে ফেলেছেন। আর যে কারণে পুরো আদালতপাড়া জুড়ে মোহসীন পরিষদের জয়গান শোনা যায়।
তাই আসন্ন এ নির্বাচনকে ঘিরে যেন কেউই বসে নেই। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন সাবেক আইনজীবী নেতারাও। যাদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে রং-বেরংয়ের লিফলেট। চলছে কুশল বিনিময়। আইনজীবীদের টেবিলে পড়ে আছে নির্বাচনী প্রচারণা সম্বলিত কার্ড। প্রার্থীদের সমর্থকরা আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে বিলি করছেন প্রচারপত্র। এছাড়াও মিছিলের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে মোহসিন-মাহাবুব পরিষদের জয়গান।
প্রতিদিন দুপুরেই আদালতের কাজ শেষে আইনজীবীদের প্রচারণায় মুখরিত থাকে আদালত প্রাঙ্গন। যেখানে নারী আইনজীবীদের অবস্হানও ছিলো লক্ষনীয়। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচারণায় আদালত চত্বরে এক মহা মিলনের আবির্ভাব ঘটে। এ সময় আইনজীবীদের মুখে শুধু মোহসীন-মাহবুব পরিষদ ধ্বনিতে সরগরম হয়ে উঠে আদালত চত্ত্বর।
নির্বাচনে বিজয়ী হলে ডিজিটাল ৮ তলা বারভবন নির্মাণ কাজ শেষ করাই হবে প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এড.মোহসীন মিয়া। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান।
এ ব্যপারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতী ব্যক্তয় করে এড.মোহসীন মিয়া বলেছেন, নির্বাচিত হলে আমার প্রথম দায়িত্ব ও লক্ষ্য থাকবে আইনজীবীদের এই স্বপ্নের ভবনটির কাজ যতদ্রুত এগিয়ে নেয়া। বিজয়ী হতে পারলে দায়িত্ব পালনে এটিই অন্যান্য কাজের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে।
দুই কোর্ট একসাথে রাখার ব্যাপারে সভাপতি প্রার্থী বলেন, মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদের এখানে সরেজমিন পরিদর্শন করে বলে গিয়েছেন দুই কোর্ট একসাথেই থাকবে। এটি অনেকটা মিমাংসিত বিষয়। সিজেএম কোর্ট করার জন্য গণপূর্তের সামনের জায়গাটি মন্ত্রী মহোদয় নিজে দেখে গেছেন। যেহেতু আইনজীবীদের বৃহৎ স্বার্থের কথাটি সবসময় আমরা ভাবি সেহেতু এখানে ভিন্ন কোন চিন্তার অবকাশ নেই। মাননীয় সাংসদ শামীম ওসমান এই ব্যাপারটিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সুতরাং দুই কোর্ট একসাথেই থাকবে, এটি অন্য কোথাও যাচ্ছেনা।
মোহসীন মিয়া বলেন, এছাড়া আমরা আইনজীবীদের জন্য স্মার্টকার্ড, ডাইরেক্টরী তৈরি করেছি। আমি যদি নির্বাচিত হই তবে এর সাথে আমি চেষ্টা করবো আমাদের বারে যাতে একটি অত্যাধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলার । এটি করতে পারলে আইনজীবীরা সমৃদ্ধ বইয়ের মাধ্যমে নিজেদের আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন। এছাড়া বারের সফটওয়্যার যেটির মাধ্যমে প্রত্যেক আইনজীবীর আলাদা আলাদা একাউন্টস লেজার তৈরি করা হয়েছে, এখান থেকে আইনজীবীগণ যে কোন সময় তার হিসাব চেক করতে পারবেন, বারের যে কোন ফান্ডে টাকা জমা প্রদান করলে বা ওকালতনামা, জামিননামা, হাজিরা ক্রয় করলে আইনজীবীরা তা নিজ নিজ মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে জমা করা অর্থের তথ্য মানি রশিদ নম্বর সহ সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়া এর মাধ্যমে ডাটাবেজ আপডেটও চেক করতে পারবেন।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান বলেন, যেহেতু এর আগেও আমি দুইবারের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই সাংগঠনিক দক্ষতার আলোকে এবার আরো অগ্রগতিতে আইনজীবীদের স্বার্থে কাজ করতে চাই। যেখানে আমার আরেক সহযোদ্ধা এবারের র্নিবাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছে। যদি আমি ও আমাদের পুরো প্যানেল নির্বাচিত হই পুর্বের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করাই থাকবে মূল লক্ষ। আমরা সবসময়ই আইনজীবীদের সমন্বয়ে কাজ করেছি, এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এছাড়াও অন্যান্য যেসসকল বিষয়গুলো আছে যেমন ডিজিটাল ভবন নির্মাণ, দুইকোর্ট একসাথে রাখা, আইনজীবীদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা এসব আমাদের ধারাবাহিক পরিক্রমা, যা অব্যাহত। আর সকল আইজীবী ভোটারদের উদ্দেশ্যে এটুকুই বলবো আমরা বাস্তবায়নে বিশ্বাসী। আগে যেভাবে পাশে থেকে সহযোগী হয়েছেন, এবারও থাকার অনুরোধ রইল।