বুড়িগঙ্গায় ৪ শ্রমিকের মৃত্যু, তাৎক্ষণাৎ সহযোগীতায় ইউএনও নাহিদা বারিক

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার র্পাশ্ববর্তী বুড়িগঙ্গা নদীতে তাহমিনা এক্সপ্রেস নামে একটি বালুবাহি বাল্কহেড ডুবে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে নদীর পশ্চিমতীরে রাজধানীর দক্ষিন কেরানীগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিদল গিয়ে বাল্কহেডের ইঞ্জিনরুম থেকে আটকে পড়া চার শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় হড বাল্কহেডের মাস্টারসহ দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলো পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানার চাষেরকাঠি এলাকার আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে মোস্তফা, একই জেলার  বটবাড়ি থানার ছোট আরজি এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে বাবু, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কান্দেবপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে লুৎফর রহমান ও বরিশাশ জেলার বানারিপাড়া থানার ইলুহার এলাকার মহিবুল্লাহ।

কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে বাল্কহেডটি পরিষ্কার করার জন্য দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে নোঙর করে শ্রমিকরা। কাজ সেরে শ্রমিকরা ইঞ্জিন রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাল্কহেডটির কোনো স্থানে ছিদ্র হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করলে সেটি নদীতে ডুবে যায়। এসময় বাল্কহেডের ভেতরে আটকে পড়া ছয় শ্রমিকের মধ্যে  চারজন মারা যান। পরে নৌ-পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে স্বজনদের কাছে  হস্তান্তর করে।

এদিকে এ দূর্ঘটনার খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণাৎ সহযোগীতায় নিহত শ্রমিকদের মরদেহ দাফন কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে বিশ হাজার টাকা করে অনুদান দেন। একই সাথে গ্রামের বাড়িতে লাশ পৌঁছানোর জন্য এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত