নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শেখ ফয়জুর রহমান ) : আদর্শ কৃষক ও বৃক্ষ প্রেমি আব্দুস সাত্তার মিয়া । বয়স ৪৮ বছর। তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক। শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের মৃত শামুস উদ্দিনের ছেলে। আব্দুস সাত্তার মিয়া ছাত্র জীব উত্তরণ করে কৃষি কাজের সাথে সংযুক্ত হন । তরুণ বয়স হতেই অনেক রকম ফলদদায়ক গাছ ও সবজি উৎপাদনে ছিল তার প্রবল ঝোঁক ।
এরই পারম্পর্যে বিভিন্ন সবজি উৎপাদনের পাশাপাশি ২০১৫ ইং সালে তিনি তার এলাকার ৩ লোকের সাথে পার্টনার হিসেবে ১৭ বিঘা জমিতে লেবু চাষ করেন । ওই জমিতে ২০০০টি লেবু চারা রোপণ করেন । ১ বছর পরেই লেবু আসতে শুরু করে ।
লেবু বিক্রি করে ভালো লাভ হওয়ায় ২ বছর পর ২০১৭ ইং সালে তিনি একাই সাড়ে সাত বিঘা জমিতে ১২০০টি চারা রোপণ করেন । প্রতি বছরে শ্রমিক, সার-কীটনাশক ও সেচ বাবদ তার ব্যয় হয় ৯০০০০ হাজার থেকে ১০০০০০ লক্ষ টাকা ।
আর উৎপাদিত লেবু স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করে বছরে আয় করেন ৩০০০০০ লক্ষ থেকে ৩৫০০০০ লক্ষ টাকা । ফলশ্রুতিতে তিনি লেবু চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছেন ।
লেবু চাষে সফল কৃষক আব্দুস সাত্তার মিয়া তার লেবুর চাষাবাদকে অনুকরণ করে সম্প্রতি ওই গ্রামের রানা মিয়া, শাহজাহান মিয়া, হাফিজুর রহমান সহ আরও অনেকে লেবু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন ।
তবে চাষিদের অভিযোগ, লেবু চাষের জন্য সরকারি সহায়তা কিংবা কৃষি বিভাগের কোনো পরামর্শ তারা পান না । এখানে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে লেবুর ফুল আসতে শুরু করে। আর ফলন দেয় জৈষ্ঠ্য-আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র মাস জুড়ে । লেবু চাষ লাভজনক হওয়াতে দিন দিন বাড়ছে ওই এলাকায় লেবু চাষি সংখ্যা ।
লেবু চাষী আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, এই কাজে সরকারি কিংবা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে এক দিকে বেড়ে যাবে শ্রমজীবীদের কর্মসংস্থান । অন্যদিকে ফিরে আসবে ঘরে ঘরে স্বচ্ছলতা ।
লেবু চাষের ব্যাপারে লেবু চাষিরা বলেন, এখানে সরকার তথা কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত ভাবে প্রশিক্ষণসহ সহযোগিতা করলে এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হতো । গ্রীষ্মের গরমে, রমজান মাসে, বিবাহ ও বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে লেবুর কদর বেশি হওয়ায় লেবুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে । সারা বছর লেবুর চাহিদা থাকায় বর্তমান বাজারে লেবুর দাম আকাশ ছোঁয়া । প্রতি হালি (৪টি) লেবু ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে ।