নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আইনজীবী সহকারীর পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৮ এপ্রিল সোমবার রাতে লাঙ্গলবন্দ কামতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় ওসমান গনি নামের এক ব্যাক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে ঢামেক আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, উপজেলা ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের মৃত শহর আলীর দুই ছেলে আমিন ও ওসমান গনির মধ্যে গত দুই বছর ধরে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই নিয়ে সোমবার সকালে ওসমান গনির সঙ্গে তার ভাবি ও ভাতিজা শহিদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে রাস্তা পূর্ব থেকেই উৎপেতে থাকে সোমবার রাত ৯ টার দিকে ওসমান গনি নিজ ঘরে যাওয়ার পথে তাকে একা পেয়ে ভাই আমিন, ভাতিজা মিন্টু, ভাতিজি রোমানা ও ভাবি সাফিয়া মিলে তাকে মারধর শুরু করে। এসময় ভাতিজা শহিদুল ঘর থেকে দারালো ছুরি এনে চাচা ওসমান গনির পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দিলে সে চিৎকার করে। এসময় তার দুই মেয়ে শারমিন, ইতি এগিয়ে এসে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তারাও বাবাকে মাইরা লাইছে বলে ডাক চিৎকার শুরু করলে ওসমান গনির স্ত্রী লাখি ছুটে আসেন।
এসময় মা, দুই মেয়েকে লাঠি সোটা পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওসমান গনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ও মা, মেয়েরা হাত পা ভাঙ্গা অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে গুরুতর আহত ওসমান গনিকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আহত ওসমান গনির ছেলে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সহকারী ইব্রাহিম সুমন জানিয়েছে, তার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক, পেটের ভেতরে ছুরি ডুকিয়ে দেয়ায় একটি কিডনিতে ও লান্সে আঘাত পেয়েছে। তাই তাকে কর্মরত ডাক্তার বাইপাস অপারেশন করেছেন। অপরেশন শেষে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী দারোগা আব্দুস ছামাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।