না.গঞ্জে মৎস চাষীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার-২

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে মৎস ও সবজি চাষী মজনু চৌধুরীসহ দুই জনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় নুরুল ইসলাম ও মনির হোসেন নামের দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সড়েজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই দুই জন চারিতালুক এলাকার মৃত লস্কর আলী প্রধানের ছেলে।

এদিকে, চাষ করা তিনটি পুকুরও দখলমুক্ত করে নির্যাতিত মজনু চৌধুরীকে বুঝিয়ে দেয় প্রশাসন। অভিযানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এমদাদ হোসেন, ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সফিকুল ইসলাম, ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুসহ আরো অনেকে।

রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া মৎস ও সবজি চাষী মজনু চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জানা যায়, চারিতালুক এলাকায় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রিত হয়ে কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মজনু চৌধুরী নামের এক মৎস ও সবজি চাষী। বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান ও স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মাহাবুর, মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে আকবর মিয়া, আইয়ুব মিয়া, ইয়ানুছ মিয়ার ছেলে মাজাহারুল ও নাজমুলসহ তাদের নিয়োজিত সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়িঘর জবরদখল করতে মজনু চৌধুরীকে নানা ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে ।

মজনু চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, মজনু মিয়া বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ গ্রহন করে ৩টি পুুকুর বর্গা নিয়ে মৎস চাষ করে আসছেন। এসব মৎস পুকুরে রুই, কাতলা, মির্কা, ব্রিগেট, গ্রাস কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছেন। পুকুরের চারপাশের পাড়ে লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেন তিনি। গত ৩ মাস পুর্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা এক বিঘার একটি পুকুর জবর দখল করে নিয়ে যায়। বাকি দুইটি পুকুরের মাছ জোরপুর্বক ভাবে ধরে বিক্রি করে দেয়। পুকুর পাড়ে চাষ করা লাউসহ সবজি গাছ কেটে ফেলে। পুকুরে গেলেই মজনু চৌধুরীকে হত্যা ও হামলার হুমকি দিয়ে থাকে অভিযুক্তরা। গত এক মাস আগে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ফজরের নামাজরত অবস্থায় মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে মোশারফ হোসেন নামের এক যুবকের সঙ্গে মজনু চৌধুরীকে চুরির অপবাধ দিয়ে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে পাশবিক নির্যাতন চালায় নির্যাতনকারীরা। পরে দীর্ঘ এক মাস ঢাকা সোহরওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসনের টনক নড়ে।

add-content

আরও খবর

পঠিত