নারায়ণগ‌ঞ্জে পরিক্ষিত নেতাদের মধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত খান মাসুদ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ বন্দরে যুবলীগ নেতা খান মাসুদ পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদের মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। অন্য আট দশটা নেতাদের মধ্যে খান মাসুদের রাজনৈতিক বিসর্জণ অনেক বেশি বললেই চলে। দলীয় মিটিং-মিছিলে খান মাসুদের অবদান অনস্বীকার্য্য এমন কথা জানিয়েছেন বন্দরের তৃনমুল কর্মীরা।

তারা আরো জানিয়েছেন, খান মাসুদের ধমনিতে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত ও বন্দরে ঐতিহ্যবাহী খানবাড়ির আওয়ামী পরিবার থেকে জন্ম নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে বেড়ে উঠা এক টগবগে যুবক। রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বেই তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। এই নেতা তরুণ বয়স থেকেই সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক কর্মকান্ডসহ অসহায় মানুষের বিপদে তাদের পাশে থাকতেন এবং সে কারনেই স্থানীয়দের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

রাজনীতির চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান হয়ে দলের যে কোন কর্মসূচিতে তার উপস্থিতি ছিল সরব। তিনি বহুবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যের কষাঘাতে রোষানলের শিকার হয়ে কারাবরন করেন। তারপরও তিনি ক্ষান্ত হননি। দলের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। কখনো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নেননি। বিরোধী দলীয় বহু নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দলপূর্ণগঠন করে কর্মীদের সাথে নিয়ে এগিয়ে গেছেন। কখনো স্বার্থকে চরিতার্থ করে অর্থলোভে নিজের স্বত্বাকে বিসর্জণ দেন নাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশানুযায়ী আ’লীগের সকল কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে চলেছেন। এখন দলের সুদিন হলেও যেন ত্যাগী, পরিশ্রমী, কারানির্যাতিত এই নেতাকে দলের স্বার্থে যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করে দলকে আরো শক্তিশালী করার অনুরোধ তৃমুলকর্মীদের।

তথ্য মতে, দলের দূর্দিনে তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব জেলা যুবলীগনেতা খান মাসুদের রাজনীতির অগ্রযাত্রা- ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতা পালা বদলের পর বিএনপি জামায়াতের নিপীড়ন নির্যাতনের ভয়ে মানুষ যখন আওয়ামীলীগের নাম নিতে ভয় পেতো ঠিক সেই মুহুর্তে দলের দুঃসময়ে বন্দর পৌর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি তার শ্রদ্ধেয় চাচা জয়নাল আবেদিন খান সাহেবের হাত ধরে তার রাজনীতি যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন বন্দর বাজারস্থ বন্ধ থাকা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদটি প্রতিদিন খুলে বসতেন তিনি এবং সেখানে থেকেই নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আওয়ামীলীগের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। চার দলীয় জোট সরকারের নিপীড়ন নির্যাতনের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে খান মাসুদের নেতৃত্বে শহরে বিশাল বড় বড় মিছিল নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন। দলের দূর্দিনে হাজার হাজার কর্মীদের নিয়ে বিশাল মিছিল ও হরতালের মতো কর্মসূচিতে তার কর্মীদের সাহসীকতা দেখে সিনিয়র নেতাদেরও বেশ নজর কারেন তিনি এবং তখন থেকেই দলের সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সর্বপ্রথম ২০০২ সালের ৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মানসকন্যা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ফ্রিগেট মামলার প্রতিবাদে হাজারো কর্মীদের নিয়ে বন্দরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তীব্র প্রতিবাদ জানান খান মাসুদ। সেদিন থেকেই তার রাজনীতি জীবনে আন্দোলন সংগ্রামের যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা তার রাজনৈকিত কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি হয়ে ২০০৩ সালে বন্দর পৌর ইউনিয়ন ছাত্রলীগে খান মাসুদকে সভাপতি ও আজিজ সুমনকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করে কমিটি গঠন করা হয়। সেদিন থেকে খান মাসুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড আরও বেগমান হয়।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে একান্ত আলাপ চারিতায় খান মাসুদ বলেন, কোন কিছু চাওয়া পাওযার জন্য রাজনীতি করিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই রাজনীতি করি। আমরা দলের দুঃসময় থেকে রাজপথে আছি। চার দলীয় জোট সরকারের শাষনামলে রাজপথে আন্দেলন সংগ্রাম করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি চার্জ, টিয়ারসেল, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও ডিবি পুলিশের অমানুষিক নির্যাতনের পরও কখনো রাজপথ থেকে এক বিন্দুও পিছু হটে যাইনি। সব সময় রাজপথে মিছিলের সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্য আওয়ামীলীগের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে সদলবলে অংশগ্রহণ করেছি। দিনের পর দিন ফেরারী হয়ে ঘুরেছি। যখনি দলের কোন কর্মসূচী আসতো একদিনো রাতে পরিবারে সাথে বাসায় ঘুমাতে পারিনি।

২০০৪ সালে বন্দর থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে আমাকে সাংগঠনিক পদে নির্বাচিত করার পর থেকে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে আমি আমার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে আমার হাজারো কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সব সময় রাজপথ সরগরম রেখেছি ভবিষ্যতেও রাখব ইনশা আল্লাহ। পদের জন্য রাজনীতি করিনা। দলের স্বার্থে দল যদি মনে করে আমাকে পদ দিলে দল আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে তাহলে পদ দিবে। আর না দিলে নাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করেই রাজনীতি করে যাব।

add-content

আরও খবর

পঠিত