নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নগরীর অলিতে গলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এসব কুকুরের অবাধ বিচরণ নিয়ে জনমনে শংকার সৃষ্টি হয়েছে। জলাতংক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে স্কুলগামী শিশুদের নিয়েও উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। তবে এবার সরকারী হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জ ৩শত শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে কুকুরের অবাধ বিচরণ দেখা যাওয়ায় র্সবসাধারণের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে এ হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা হুমকীর মুখে রয়েছে বলে মনে করছেন আগত রোগীরা।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালটিতে প্রবেশ করতেই জরুরী বিভাগের কক্ষে জানালার সামনেই রয়েছে কুকুর-বিড়ালের অবাধ বিচরণ। যেকোন সময়ই তাদের মলমূত্রতে অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে হাসপাতালের পরিবেশ। অপরিচ্ছন্নতায় বাদ পড়েনি রোগীদের বেডও। রোগীদের ব্যবহারে অধিকাংশ টয়লেটও রয়েছে অপরিচ্ছন্ন।
তাছাড়াও বিভিন্ন সময় আসা আহত রোগীদের রক্তের ছাপ এখনো দেখা যায়। অথচ হাসপাতালের ভেতরে এবং বাহিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য নানা নির্দেশনা দেয়া থাকলেও তা মানছেনা অনেকেই। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুকিঁতে পড়ছে এ হাসপাতালে সেবা নিতে আসা হাজারো রোগী।
আগত রোগীরা ভীত পোষন করে আরো জানায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কক্ষেই গুরুতর অসুস্থ রোগীদের প্রথমে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাই প্রতিনিয়তই এখানে অসংখ্য রোগীদের ভীড় ও লম্বা লাইন দেখা যায়। বিভিন্নসময়ই এখানে কুকর বিড়ালের অবাধ বিচরণ থাকায় আমরা খুব আতংকে থাকি। না যেন কখন কামড় দেয়। বেড এ খেতে বসলে আশেপাশে বিড়ালও খুব বিরক্ত করে। বাধ্য হয়ে খাবার দিয়ে শান্ত রাখি।
এছাড়াও গুরুতর রক্তাক্ত জখম রোগীদের চিকিৎসার জন্য অপারেশন থিয়েটার কিংবা নিরাপদ কক্ষ ব্যবহার না করে রোগীদের কাটা, ক্ষত ও ( মহীলাদের র্স্পশকাতর স্থানের আশেপাশে পুরুষ চিকিৎসক দ্বারা ) সকলের সামনেই সেলাই, ব্যান্ডেজ, ইনজেকশন সহ ড্রেসিং করা হয়। যার জন্য অন্যান্য চিকিৎসা নিতে আসা রোগী কিংবা তার সহযোগী র্দুবলচিত্তের অনেকেই ভয় পেয়ে থাকেন।
কিন্তু এসব বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ ৩ শত শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু জাহের কে তার ব্যবহৃত নাম্বারে কল দেয়া হলে সংযোগ স্থাপন না হওয়ায় তার কোন মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে একই চিত্র নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ১শত শয্যা বিশিষ্ট (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের। এরআগে বেডের মধ্যে রোগীর বদলে বিড়ালদের বসে থাকার ছবি সহ বিভিন্ন গন্যমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামাান জানায়, আসলে হাসপাতালে খাবার পাওয়াটা সহজলভ্য। যেকারণে কুকুর এখান থেকে সরানো যায়না। এছাড়া হাসপাতালটি হওয়ার সময় ভুলক্রমেই হোক কিংবা অন্যকারণে সিকিউরিটি নিয়োগ দেয়ার কোন পোস্ট নেই। তাই নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি যেহেতু জানিয়েছেন আমরা কোন একটা ব্যবস্থা নিব।
সচেতন মানুষ মনে করেন, বর্তমানে র্কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় সরকারী হাসপাতাল এমন দশায় পরিণত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিলে এর সমাধান অসম্ভব কিছু নয়। প্রয়োজনে নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিয়ে হাসাপাতালের আশপাশ সুরক্ষিত করা সম্ভব। কেননা জরুরী ভিত্তিতে কোন রোগী প্রবেশ করলেই প্রথমে অশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করে রাখা রিক্সা ও বিভিন্ন যানবাহনের ফলে বাধার সম্মুখিন হতে হয়। হাসাপাতালের সুরক্ষা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে লোক নিয়োগ হলে এর প্রতিকার সম্ভব।