রূপগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া চিকিৎসক আটক

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর এলাকায় মডার্ন হেলথ সেন্টার নামের একটি ডায়াগনষ্টিক ও কনসালটেশন সেন্টারে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখানো হচ্ছে। নিম্নমানের মেশিন দিয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষা করিয়ে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েক জন চিকিৎসক ও কর্মচারীর যোগসাজসে মডার্ন হেলথ সেন্টারটি পরিচালিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এসব প্রতারণার সংবাদে বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করে নুরে আলম (৩৬) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে। আটকৃত নুরে আলম জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা কালীবাড়ি এলাকার মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-১১ এর মেজর নাজমুছ তালুকদার সাকিব জানান, উপজেলার সাহাপুর এলাকায় অবস্থিত অনুমোদনহীন মডার্ন হেলথ সেন্টার নামের একটি ডায়াগনষ্টিক ও কনসালটেশন সেন্টারে রোগীদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে র‌্যাবের কাছে সংবাদ আসে। বুধবার দুপুরে র‌্যাব অনুমোদনহীন মডার্ন হেলথ সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া চিকিৎসক নুরে আলমকে আটক করে। নুরে আলম নিজেকে এমবিবিএস, ডিএমএস, সিএমও, ডিএমও আলট্রাসোনোগ্রাফি ভুয়া পদবী ব্যবহার করে রোগী দেখে আসছে। এছাড়া পরিক্ষা নিরীক্ষা করে নিজেই রিপোর্ট তৈরি করেন। অথচ তার এ ধরনের চিকিৎসা সনদপত্র নেই এবং তিনি ভুয়া চিকিৎসক স্বীকারও করেছেন। অভিযানে আলট্রাসোনোগ্রাফি মেশিন, কম্পিউটার, ব্যবস্থাপনাপত্রসহ ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩০০ গজ সামনে সাহাপুর এলাকায়  অনুমোদনহীন মডার্ন হেলথ সেন্টার গড়ে তোলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল মতিন ও ভুয়া চিকিৎসক নুরে আলম। পরিক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসক দেখানোর ক্ষেত্রে রোগীদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিওন রিনা আক্তার, তার স্বামী বাবুলসহ বেশ কয়েকজন দালাল সেখানে কমিশনে রোগী নিয়ে যাচ্ছে। মডার্ন হেলথ সেন্টারের অনুমোদন নেই, পরিক্ষা নিরীক্ষা ও ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে রোগী দেখানোর ক্ষেত্রে রোগীদের সাথে প্রতারণা করা হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাঈদ আল মামুনের যোগসাজসে কয়েক জন চিকিৎসক অধিক পরিমানে কমিশনের আশায় সেখানে রোগী পাঠাচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাঈদ আল মামুন বলেন, আমাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এসব কাজে জড়িত নয়। আর আমার যোগসাজসতো প্রশ্নই উঠে না।

add-content

আরও খবর

পঠিত